এই জীবনে পেয়েছি যা হারিয়েছি তারো বেশি
স্বপ্ন দেখতে গিয়ে কতবার গিয়েছি যে ফাঁসি ।
বাবা-মাকে হারিয়েছি আমি সেই ছোট বেলাতে
বুক ভরা ব্যথা আমার হেরেছি জীবন খেলাতে ।
কবি হতে চেয়েছি আমি হতে দেয়নি ওরা
কবিকে দিয়ে লেখায় ওরা বুকে ধরে ছোরা ।
কবিদের কলমে উঠেনা ফুটে অন্যায় প্রতিবাদ ,
সমাজে তাই ওঠেনা আলো কাটেনা আঁধার রাত ।
জেনেশুনে তাই যাইনি ওদিকে ওটা যে এক ফাঁদ ,
কবি হবার স্বপ্ন তাই দিতে হল বাদ ।
এবার আমি হতে চাইলাম মানুষ গড়ার কারিগর
পরে জানলাম এথায়ও ওদের দিতে হবে বখরা-কর ।
নইলে নাকি পিস্তল ঠেকিয়ে উড়িয়ে দেবে খুলি ,
ওরা কেড়ে নেয় শিক্ষকের মুখের বুলি ।
শিক্ষকের কন্ঠে ওঠেনা ফুটে অন্যায় প্রতিবাদ ,
সমাজে তাই ওঠেনা আলো কাটেনা আঁধার রাত ।
শুনে আর পা বাড়াইনি এসেছি ফিরে পিছু ,
শিক্ষক না হয়ে এবার হব অন্য কিছু ।
ভাবিলাম হব বিচারক আমি ,
এবারও শুনি জর্জের ছেলেকে করে জিম্মি
ওরা পাল্টে দেয় বিচারের রায় ।
অন্যায় করে কত পশু পার পেয়ে যায় ।
জর্জের বিচারে ওঠেনা ফুটে অন্যায় প্রতিবাদ
সমাজে তাই ওঠেনা আলো কাটেনা আঁধার রাত ।


কথা : সমাজের তিন দিকের তিন দিকপাল কবি , শিক্ষক ও বিচারক ; যারা নৈতিকতার অস্ত্রের আঘাতে সব অন্যায় – অবিচারের অন্ধকারকে বিদূরিত করে সমাজকে নিয়ে যান আলোর পথে । কিন্তু তাদেরকে এমনভাবে স্তব্ধ করে রাখা হয় যে , তারা হয়ে যান দুষ্টচক্রের হাতের ক্রীড়নক । ফলে সমাজ কখনোই আলোর মুখ দেখে না ।