কোন এক মুখোশধারী
ঘরে ঢুকে তোমারি ,
কেড়ে নিতে চায় সর্বস্ব ।
না কোন সুযোগ তাকে দিওনা
ঐ দেখ ঘরের কোণে এক ধাতবখন্ড ,
ওটা তুলে নাও হাতে
প্রচন্ড আঘাতে ,
খুন করে ফেল ওকে ,
তারপর প্রবল ঘৃণায় শুধু
ওর মুখে ছিটিয়ে দাও একরাশ থুথু ।
তুমি বজ্রস্বরাঘাতে ,
কাঁপিয়ে দাও অপরাধীর অন্তর ।
ভয়ে ওদের পৃথিবী কাপবে ,
পায়ের নিচে থরথর ।
ঘুণে ধরা সমাজটাকে ,
নৈতিকতার অস্ত্রের আঘাতে
ছিন্ন বিছিন্ন করে ফেল ।
তারপর আবার স্নেহময়ী হাতে
নিজের মনের মত করে গড়ে তোল ।
তুমি ভয় পেওনা কোন বিচারকে , কোন বিচারককে
জেনে রাখ , অপরাধী নিজেই বিচারক যখন
বিচার সেখানে শুধুই প্রহসন ।
না না মানবেনা এ বিচার
ভেঙ্গে পৃথিবীর সবকটা কারাগার ,
মুক্তি দাও বন্দীদের সবে
নতুন করে আবার বিচার হবে
তোমার আদালতে
সত্যের আদালতে ।
মহাপাপী হবে নির্দোষ ,
আর নির্দোষ মহাপাপী ।
বড় অদ্ভুত তাইনা , সবই যাবে পালটে
তবে মুখে ভেংচি কাটছ যে ?
সত্যের অগ্রযাত্রার কথা শুনে ,
ভয় পেয়েছ । ভীতু তুমি ভীতু
না না তোমার বাচার কোন অধিকার নেই
আমি তোমাকে খুন করব ।
আমার পথের কোন প্রতিবন্ধককেই
আমি বাঁচতে দেব না ।
ন্যায়াস্ত্রের ট্রিগারে আমার হাত
সত্যের বুলেটে ভরা ওর শরীর
তুমি হেরে গেছ ।
সময়ঃ ২৫-১০-২০০৮
………………
কথাঃ আমার লেখা উপন্যাস 'এখনো অনেক মেঘ' এর শেষাংশের কবিতা এটি ।