গভীর রাতে প্রায়ই শোনা যায় এক নিশাচর পাখির ডাক
একদিন তাকে জিজ্ঞেস করি, ‘তুমি কাদছ কেন ?’
সে যদি কথা বলতে পারত আমার ভাষায়
হয়তো বলত, ‘তুমি হলে কি করতে ?’
প্রতি রবিবার হাট বসে বটগাছটার নিচে
হৈ চৈ আর কোলাহলে মুখর সারাদিন
গাছের মগডালে দুটি পাখির সুখের সংসার
স্বপ্নের জাল বুনত দুজন অজানা ভবিষ্যতকে নিয়ে
কখনোবা নীল আকাশে ডানা মেলে উড়ে যেত অজানার পথে
ক্লান্ত শরীরে ফিরে নীড়ে দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে
সে কি গভীর ঘুম ।
কিছু ঘুম কখনো ভাঙ্গে না
কোন পার্থিব ডাকে সে আর সাড়া দেয় না
অজানার আহবানে সে হয়ে যায় চিরপর
কষ্টের নীলচে আভা ছড়িয়ে যায় সারাটা আকাশ
শোকার্ত রক্তকণার মিছিল নামে প্রতিটি শিরা-উপশিরায়
স্বপ্নভঙ্গের আহাজারিতে ডানা ঝাপটাতে থাকে সঙ্গীপাখিটা ।
এখনো রবিবার এলে হাট বসে বটগাছের নিচটাতে
সবই হয়তো ঠিক আছে, তারপরও কি যেন নেই
কি নেই জানিনা, জানতে ইচ্ছে হয়না
আজকাল চাওয়া-পাওয়ার ব্যবধানটা অনেক কমে গেছে
ঠিক স্বাভাবিক নিয়মে নয়, অন্যভাবে
কিছু চাওয়ার নেই, পেতেও ইচ্ছে হয়না
স্বপ্নের রংচটা ফ্রেমে মরচে ধরেছে অনেক আগেই ।