খুব যে মনে পরছে আমার ছোটবেলার কথা
করি মনে হঠাৎ কিছু ভুলে যেতে ব্যাথা।
কত মধুর স্মৃতি সেথায় আসছে ক্ষণে ক্ষণে
হৃদয় কনে সুখের ঝিলিক ভাসছে মনে মনে।
স্মৃতির পাতা  পূর্ণ হেথায় শূন্য এখন আমি
হৃদয় তাইতো আমার কাছে অনেক খানি দামি।
সেই যে কবে বর্ষা দিনে কাঁধা মাখা মাখি
হৃদয় খানি খুলে আমার চোখের মাঝেই রাখি।
হঠাৎ কোথাও খুঁজতে যাওয়া কদম ফুলের ঝাঁক
মেঘের খেলা দেখে সেথায় হতাম যে নির্বাক।
বাদল জলে টুপর টাপুর পুঁটি মাছের খেলা
পুকুর ধারে কাটিয়ে সময় ফেরা সন্ধ্যা বেলা।
সেই যে কবে টিনের চালে বৃষ্টিতে রিমঝিম
বৃষ্টি জলে খানিক ভেজা জবা যে রক্তিম।
রাত দুপুরে হঠাৎ ফোঁটা হাসনা হেনার দল
চাঁদের আলয় উঠোন আমার হত যে উজ্জ্বল।
ঝড়ের রাতের ঝাপটানো সেই পাখ পাখালির সুর
পরছে মনে ভীষণ আমার এসে এত দূর।
ভোরের বেলা মিষ্টি রোদের লুকোচুরি খেলা
খুব যে মনে পরছে আমার বৈশাখীরই মেলা।
সেই যে কবে শরৎ আকাশ মেঘের সাথে গান
কিশানের ওই বাড়ি ফেরা মাথায়  নিয়ে ধান।
একটু খানি ঝিমানো সেই তেঁতুল গাছের তলে
নিজের ছায়া খুঁজে ফেরা পুকুরের  ওই জলে।
শীতের দিনে চা হাতে সেই উঠোনেরই কোনে
নরম মাটির সুভাস খোঁজা আপন মনে মনে।
নৌকো নিয়ে হঠাৎ কোথাও হারিয়ে যাওয়া দূরে
হারিয়ে যাওয়া দিন গুলো সেই ভাবছি সুরে সুরে।
হিন্দুবাড়ির দেখতে বিয়ে সেই যে রাতের বেলা
নদীর পারের রাতের আকাশ লক্ষ তারার মেলা।
কুকিল ডাকা বসন্তে সেই কৃষ্ণ চূড়ার দল
সৃতির পাতায় ভাসছে যে মন চোখ যে টলমল ।
গ্রীষ্মকালীন ছুটির দিনে মামার বাড়ির সুখ
ভুলিয়ে দিচ্ছে আমার মনের সমকালীন দুখ।