অথচ পশ্চিমাকাশে ফুটেছিল কিছু সাত কোটি রং
রংতুলি কথা দিয়ে ডুবেছিল সাত কোটি রং-এ;
ক্যানভাসে ছিল এক অষ্টাদশীর নিমন্ত্রণ, তাই
পটসঙ্গীতে বেজেছিল রাখালিয়া আমন্ত্রণ।
সেই সুরে অদূরের বনে, দখিনায় কেঁপেছিলো চাপা গুঞ্জনে
কিছু কাঁঠালিলতা আরো ঘন হয়ে জড়িয়েছিল গাছে।
তারই ফাঁকে ফাঁকে একে বেঁকে চলে গিয়েছিল পালেস্বরী;


ওখানে, পালেস্বরীর পাড়ে পা ডুবিয়ে অষ্টাদশী আর
আমার জড়াজড়ি করে বসার কথা হয়েছিল
নৌকা গুনবার ছলে, ঘন কাশফুলাড়ালে;
ডাহুক তার চকিত চাহনিতে থেমেছিল,যেন গুনতো কারো
ভেজা চুম্বনে গাঢ় পড়ন্ত ঝড়ের কিছু তাল-লয়-ছন্দ।
মেঘে আর আকাশে পেষা ‘গূঢ় আলিঙ্গনে কিছু
কদমও উঁকি ঝুকি দিয়েছিল শাখ-পাতাড়ালে।
মাছরাঙা ওত পেতে ছিল কাছেই চোখের প্রণয়ে।


সবই এসেছিলো সেই রং-তুলির পূর্বাভাসে,
সাত কোটি রং-এর ঝরা নির্ঝরে
কিন্তু কোথায় যেন শিল্পীর মহা মানসপটে, কী এক
ছবি লেপ্টেছিল অষ্টাদশীর চোখের কাজলে;
আর তাতেই অভিমানী এলোমেলো আচড়ে
রংতুলি কথা রাখে নি।