সেই তো বৃষ্টি এলো দু কূল ছাপিয়ে
এলো বৈশাখী ঝড়
এলোমেলো ঝড়ো হাওয়া
একাকী নি:শব্দে এলো জীবনের বারতা
এলো ফুল প্রজাপতি এলোমেলো রিতিনীতি
এলো হাসি কান্না শব্দ কবিতা
এলো তার আগমনী সূর ।


এলো তার এলোকেশ মেঘের হাত ধরে
এলো অগোছালো বেশভূষা
এলো বন্যার গর্জন সাগরের হুংকার
এলো রিনিক ঝিনিক সূরের ঝংকার
এলো মৃদু পায়ে ছোটে চলা
এলো ভৈরবী তান
এলো অনাবিল সূরে ঘুম পাড়ানী গান
এলো লজ্জাবতী লতার উষ্ঞ চঞ্চু
এলো টুপটাপ চুম্বন বৃষ্টি
এলো মায়াময়ী বাহুডোরে এক মুহূর্তের আলিংগন ।


অবশেষে হাতের উপর হাত
প্রাণের উপর প্রাণ
দ্বৈরথে বসে বসে অর্বাচীন ঐকতান
অবশেষে এলো সে
তারপর এলে তুমি
সবশেষে নি:শব্দ পায়ে চুপিচুপি এলাম আমি ।


কৃষ্ঞকালো ফেনিল সাগরে অবগাহন শেষে
তোমাতে আমাতে অবশেষ


তবু ও রয়ে যায় অধরা স্বপ্নের দীর্ঘশ্বাস
ডানা ভাংগা গাংচিল
চক্ষু ভেজা এক ফোঁটা আবেশ
আর গুমড়ে গুমড়ে কেঁদে ওঠা
তোমার আমার সোনালী স্বপ্নের রেশ ।