রিম-ঝিম, রিম-ঝিম বৃষ্টি
পড়ছে তো পড়ছেই,
ঝরছে তো ঝরছেই-------
বাহিরে যায় নাকো  দৃষ্টি ।।


আকাশ আর সমতলে, একাকার হয়ে যায়,
বৃষ্টির দাপটে-
বর্ষণের গতিতে---
নজরুলের কবিতায় বিদ্রোহ বলে তায়।।


বাধাহীন গতিতে, অবিরাম ঝরছে, দুর্দম-দুর্বার,
আকাশের নীলিমায়,
নাহি কিছু দেখা যায়--
কোথা নাই কিছু আর ঝমঝম বরিষার--।।


কাজের ব্যস্ততা, আজ যেন গেছে কোথা,
নিশ্চল-নিশ্চুপ সবাই।
কারো মুখে কথা নাই---
মাঝে মাঝে হাই তুলে কাটাছে জড়তা।।


গরীব ঐ রিকসা চালক, হোটেলের সামনে,
অবিরাম ভিজছে,
কি যেন ভাবছে-
বর্ষার অবসর নেই তাঁর ললাটে, ক্ষুধার কারনে।।


দিন আনে-দিন খায়, এমন জীবন যার।
বৃষ্টির আয়োজন,
নেই তাঁর প্রয়োজন।
মুখ পানে চেয়ে আছে, অসহায় পরিবার।।


ভিজে ঐ দাঁড়কাক, খুঁজছে একটু আহার,
পাখা পালক ভিজে গেছে,
তবুও সে খুঁজেই চলছে--
কোথা যদি পেয়ে যায় একটু খাবার ।।


রাস্তার পাশের ঐ নেংটো ছেলে গুলি,
কাঁদায় লুটোপুটি খাচ্ছে,
বৃষ্টি আবার ধুয়ে দিচ্ছে--
পরম স্নেহে, তাই খেলছে তাঁরা মায়ের বকুনী ভুলি।।


বিদ্যুৎ রাজ ঝিলিক দিয়ে যায়, মেঘের কোণায়,
মেঘ কন্যাও গুড়গুড় ডাকে,
বৃষ্টিও বেগে নামে,
রিম-ঝিম,রিম-ঝিম শব্দে ঘুমের নূপুর শোনায়।।