অফিসে বসে মনে পড়ে আজ পল্লী গাঁয়ের স্মৃতি
নদীর তটে, বটের খুলে যেথায় গেয়েছি গীতি ।
অবাধ স্বাধীনতা, মুক্ত বাতাসে করেছি আলিঙ্গন,
আজকে হেথায় পাখার বাতাসে বিষিয়ে উঠে মন।
বাহিরে গেলে বলতে হয়, নীচ থেকে স্যার আসি,
কে যেন আমার মুক্ত কন্ঠে, লাগাইছে আজকে ফাঁসি।
আঁজলা ভরিয়া অমৃত স্বাদে খেতাম নদীর জল
ওয়াসার পানিতে তৃষ্ণা মিটে না, কেমনে বুঝাই বল?
পিয়ন, চাপরাশী, ড্রাইভার ডাকে স্যার-স্যার বাবু বাবু ,
ততই আমার কন্ঠটা যেন হয়ে যায় কাবু--কাবু-।
পড়তে হবে সাটটা ঠিকমত, টাইটি ঠিক গলায়,
সকালে উঠে সেফ করতে হয়, সভ্যতার সে জ্বালায়।
ভাবুক মনটা মরে গেছে হেথা, ফাইল পত্রের ভারে,
উইপোকার মত গিলছি কাগজ, পেটটা ভরার তরে।
গাইতে পারি না এখন আমি গলা ছাড়িয়া ধুয়াগান,
ঢাকায় আমি চাকুরী করি, বাঁচাতে হবে সম্মান।
অবাধ স্বাধীনতার ইচ্ছাটাকে ছিপি বন্ধ করে,
তেলাপোঁকার মতো বাচিয়া আছি এই ঢাকা শহরে।
পল্লী গাঁয়ের নদী, পথঘাট, বন্য পাখির দল----
ভুলতে পারে নাই তারা আমারে তাইতো চোখে জল।।