আমি এক অভিমানী শিল্পের কারিগর।
কলা-বিহীন,নিশীথ-আধারে
হেটে চলেছি-অবিরাম;
দিক-বিদিক,অশোকের-চন্দ্রগর।


তবু আমি বলি-
আমি আজ তোমাদের কোন
গান শোনাতে আসিনি-
কূহক পাখির মত!
যদিও আমি গানের পূজারী।
-নতুন দিনের আশাময় কবিতাও শোনাতে আসিনি
যদিও আমি কাব্য রচনা করতে জানি।


দেখো-হে ,দৃষ্টিহীন...
সেই সব ভিখিরীর দল;
যারা-স্বরস্বতীর পায়ে-
স্বান্ধ্যকালীন অর্ঘ দিয়ে
ভাবে:-তোমার মত আমিও শান্ত
কিন্তু, আমি আজ শান্ত নই
আজ বলে দেবো -শিল্পকে;
সেই সব শহরের কথা
যেখানে তুমি ও তোমরা -বাস কর।
যেখানে রাত গভীর হলে-
বেরিয়ে আসে; সেই সব ইদুরের দল
বড়-বড় দেহ নিয়ে;
ইতস্ততস্ ঘুরে বেড়ায়
ভেজা ঘাসের পান্ডুর বুকে-
সান্ধ্যকালীন ভোজর আশায়!


অবাক তাকিয়ে রই!
আজ তারা সকালেই বের হয়েছিল
নিয়ে গেছে প্রাণ পাশবিক উল্লাসে।


৩০.১২.২০১৭
-ক্যারূ মানদল-
কুকভিল, টেনেসি


(কবিতাটি বিশ্বজিত হত্যাকাণ্ডের পটভূমিতে রচিত। বিশ্বজিৎ এর নির্মম হত্যাকাণ্ড আমাকে ভীষণ নাড়া দিয়েছিল। তাই ইদুররুপী কিছু নরপশুদের বিরুদ্ধে এ ছিল মৌন কাব্যিক প্রতিবাদ।)