সেদিন আমিও যাবো – মরার দেশে;
হাতে হাত রেখে-করিবো আলিঙ্গন
মরা স্তন- সফেদা ফলের মতন।
দেখিবো সেই কৃষ্ণাকাশ- ঝাপসা বাতাসে
মলিন হয়ে আসে; শুভ্রার সেই-
মোহ, অন্ধকার দ্বীপ, কেয়া-বনসাই
তন্দ্রা-মন্দ্রাতুর, বিষে- বিষবাস্প-চারপাশে।
সেদিন সমস্ত পৃথিবীর-পাপ আর পুণ্য
নরকের মতন নিগূঢ়-জমাট অরণ্য-
ভেদিয়া শুনিব, নতুবা করিব উপভোগ-
পচা, গলিত- নারী মাংসের দেহ সুখ।
হায়! শকুনের কান্না কে ভালবাসে ?
হায়!! বারবার কে মনকে করে ব্যবচ্ছেদ?
পৈশাচিক উল্লাসে?


নিত্যদিনের মত- সন্ধ্যার পাণ্ডুর হাওয়া শেষে
পচা মাংসের গন্ধ গায়ে মেখে
মলিন পৃথিবীর বুক হতে
মুঠো-মুঠো শান্নিক ভাতে-
থলথলে নারী মাংস পরিবেশন করে
আজো দেখি – মনে বিস্বাদ স্মৃতি!
মৃত্যু মানে আসলেই নারী মুক্তি!!


১৭.১২.২০১৭
-ক্যারূ মানদল-
কুকভিল, টেনেসি