হিমা; এতটুকু অবহেলা আমি চাইনি
যতটুকু তুমি এই অবেলাতে দিলে;
এতটুকু বেদনা আমি চাইনি
যতটুকু তুমি প্রতিদান দিলে।।


যতটুকু বেদনা, অবহেলা পেলে-
ধূমকেতুও ফিরে যায় অসীম অন্ধকারে
ততটুকুই আজ আমার সম্বল;
আমিও ফিরে গেছি; আহত হৃদয় নিয়ে।


অজস্র আলোক বর্ষের গহন অন্ধকারে
নিঃসঙ্গ ফেরারী আমি; আমার শিরায় শিরায়
হিমাংক; হৃদয়ের পরতে পরতে বরফের চাঁই
জমাটবদ্ধ হৃদয়ে নেই কোন স্পন্দন।


হিমা, তুমি ছিলে আলোক সঞ্চারিণী।।


সেই কালপুরুষের আঙ্গিনা থেকে তোমায় দেখেছিলেম
-কোমল আলোকচ্ছাটায় ছিল উষ্ণতার হাতছানি;
তারপর থেকেই অবিরাম ছুটে চলা; অবশেষে-
শতাব্দীর শেষ দিবসে; তোমার আঙিনায় পদার্পণ।


হৃদয়ের দ্বারে করাঘাত কোরে-
ভিখ মেঙ্গে বলেছিলাম, “একটু উষ্ণতা দাও”
নতজানু প্রার্থনায় তোমার হৃদয় গলেনি;
ফিরিয়ে দিলে পরম অবহেলায়।
আমিও ফিরে গেছি, গহন অন্ধকারে;
তবুও তুমি ভাল থেকো, ভাল থেকো অহমিকায়।
জানি আর ফিরব না; তবুও যদি ছিয়াত্তর বছর পরে
আবার আসি ফিরে; দেখবে নেই কিছু অবশেষ
শূন্যতায় হয়েছি নিঃশেষ।।


২৯.১২.২০১৭
-ক্যারূ মানদল-
কুকভিল, টেনেসি