পড়ন্ত বিকেলের স্বপ্নগুলো রাতে এসে ম’রে যায়।
বৈরাগী সন্ধ্যা একরাশ বিষণ্ণতার দাবিতে অনশন
শুরু করলে মানুষের আর কি করার থাকে?
বলো?


গৌধূলীর রুধিবায়ু এনে দিলে শ্বাসকষ্ট
জানালার শার্সিতে স্বপ্ন ছেড়ে দেই;
খড়খড়িয়ে উঠে শুষ্ক-বিশুষ্ক স্বপ্ন গুলো।
কোন এক বিমলিন সূর্যাস্তের মত অন্ধকারের টানে
টুপ করে ঝরে পড়ে, পিছে পড়ে থাকে
একরাশ শূন্যতা, হাহাকার আর প্রচণ্ড অভাববোধ।
সেখানে একদিন ভালবাসা ছিল; ছিল প্রেমভাবের আশা।।


তবুও প্রতিদিন আমি বেঁচে উঠি; ভোর
থেকে বিকেল পর্যন্ত নিঃসঙ্গ বেলাভুমিতে
টুকটাক স্বপ্ন কুড়াই। শেষ বিকেলে নীলাকাশ
লাল হয়ে এলে রুধিবায়ুর আহ্বান
রুখা যায়? তাই ঘড়ায় তোলা সন্তানের
মত স্বপ্নগুলো শার্সিতে ছেড়ে দেই
বিচ্ছেদে খড়খড়িয়ে উঠে, আহত হয় শার্সি।
উদ্দাম সে অন্ধকারে বেওয়ারিশ আশা ঠিকই
আর্তনাদ করে উঠে; রাত এসে বুকে লয়;
নিয়ে কই যায় তারে? ক’জনা খোঁজ রাখে বলো?


০৩.০৭.২০১৭
(ক্যারূ মানদল)