তবু সব স্বপ্ন মরে গেলে
এক বুক আশা নিয়ে, অচেনা যুবক-
মরীচিকার নগরে একাকী রাত জাগে।
হাতে খালি পেয়ালা, মদিরার প্রেম
তখনও মরে নি; শত জনমের তৃষ্ণা-
নিদ্রা ভঙ্গের রাত, বুক ফাঠা আর্তনাদ নিয়ে
মৃতদের শহরে চুপচাপ হেঁটে যায়;
পাশ ফেরে শোয় যুবতীর লাশ!
স্বপ্ন নয়, প্রেম নয়, ভালবাসা নয়;
নয় স্নেহার্দ-সকরুণ লাবনীর হাত।
তবু এই মৃতদের নগরে কাকে যেন খোঁজে সে?


লেজ কাটা সাপের মত সব রাজপথ
রতি-ধরা নিয়নের আলোয়, ম্লান অন্ধকার-
পড়ে থাকে ন্যূজ হয়ে;
আহা! চিনেও চিনে না সে! কতশত পিঙল বর্ণের
লাশ; হিমেল বাতাসে উড়ে গেছে কাফন।
জোড়ায়-জোড়ায় চোখ, জোড়ায়-জোড়ায়
বেদনা সব; ভীবৎস নিয়নের আলোয়
তার খোঁজ আর ক-জনা রাখে?
তবুও খোঁজ রাখে অচেনা যুবক!!


হয়তো, ইজিয়ান সাগরের তীরে
রৌপ্য খচিত কোন এক মধ্যযুগীয় নগরে
বেদনাহত কোন এক যুবতী; সকরুণ একজোড়া
ব্যর্থ প্রেম নিয়ে, বসে ছিল মুখোমুখি?
বলে ছিল সে? চুপিচুপি অভিসারে?
“হে যুবক, কোন এক হলুদ বর্ণের রাতে
সব দেহ লাশ হলে; মরা নদীর মত
এই রাজপথে, ঠিক পাঁচশত তেইশ বছর পরে
খোজো মোরে, আমারে পাবে সেখানে?"


২৯.১২.২০১৭
(ক্যারূ মানদল)
কুকভিল, টেনেসি