তারাদের বনে প্রজাপতি উড়ে, প্রজাপতির বনে তারা।
একপাশে ভেসে থাকে শুল্কপক্ষের চাঁদ;
আহা! সুতো দিয়ে বাঁধা ঝুলন্ত সে চাঁদ।
তবু তা স্থির নয়!!
দেখো, প্রজাপতির পাখনায় গতি; বাতাস নীড়হারা
অবুজ সে চাঁদ, হঠাৎ ঝাপটা-বাতাসে কাত
তারপর, দুলে দুলে দিশাহারা;
আহা, দোলকের মতো দুলে দুলে দিশাহারা।


এই সব আঁকা ছিল, খয়েরী ক্যানভাসে;
আহা, মাহিমার মনের সে ক্যানভাস।
একফোঁটা দাগ নেই, মিহিন সে পটে
মহিনের ঘোড়াগুলি উড়ে যায়, মেঘ হয়ে;
তারপর পড়ে থাকে-
“তারাদের বনে প্রজাপতি, প্রজাপতির বনে তারা”
একপাশে ভেসে থাকে শুল্কপক্ষের চাঁদ।


সেদিন; হেমন্তের এক শুন্যপ্রহর রাতে
যখন, বাক্স বাক্স জানালার এই শহর
মাহিমার হাসির তরে চুপ,
তখন; আমারো বড় সাধ হলো, ভালোবাসার তরে-
সাদা ক্যানভাসে আঁকি মাহিমার মন।
সহসা, হলেম উতলা; ডাকিলাম সে চাঁদকে-
         “হে, শুল্কপক্ষের চাঁদ
         মাহিমার ঠোটের মত চাঁদ”
এই সব বুড়ো ধামড়াদের পৃথিবী ছেড়ে নেমে এসো
নেমে এসো কোন এক নিরালায়;
বড় সাধ হয়, তোমাকে সুতো দিয়ে
বেঁধে দিই শিরিষের ডালে।
টুকটুক তেইশটা জোনাকী
মাহিমার কাছ থেকে ঋণ করে এনে
জুড়ে দেই তোমার ভালোবাসায়।
তারপর? তারপর,প্রজাপতি চাও বুঝি?
ভেবোনা, বুকের মাঝে সতেরোটা প্রজাপতি
সোনালী বয়ামে রাখা আছে,
নাহয়,মাহিমার তরে ছেড়ে দেবো;
বড় আদরের প্রজাপতি সব
বর্ণালীতে আঁকা নীল ডানার প্রজাপতি।


তবু তুমি গড়ে তোল এক জীবন্ত ক্যানভাস
হা, মাহিমার মনের সে ক্যানভাস।
আমি ভালবাসার তুলি দিয়ে সাদা খাতায় স্বপ্ন আঁকি।।


২৮.১২.২০১৭
(ক্যারূ মানদল)
কুকভিল, টেনেসি