তন্ময় হয়ে ভাবি
আহা! দেখেছিলেম কি সে ছবি
যেন পটে আঁকা অমরার দেবী।
যেন নাটে বাঁধা মাধবী পরী
যেন প্রজাপতির ভিড়ে চঞ্চলা ময়ূরী।
যেন মেঘের দেশের অপ্সরী; প্রভাতের পূরবী।
আহা! দেখেছিলেম কি সে ছবি
তন্ময় হয়ে ভাবি।


হরিনী চোখ?
সেতো কবিতার উপমা
তোমার ওই চোখ
যেন মায়াবতী মহিমা।
-যেন সাগরেরই মাঝে
সকাল সন্ধ্যা সাঁঝে-
ভাসমান নীলিমা।
তোমার ওই দৃষ্টিতে, গভীর এক সৃষ্টিতে;
আমি হারিয়েছি সবি
আহা! তন্ময় হয়ে ভাবি।


নধর ওই অধর
যেন পঞ্চমীর চাঁদ
বাঁকা হাসির ফোয়ারাতে
কাল যমুনার রাতে
আমি হয়েছি যে কাত।
অধরেরই নীচে, চিবুকেরই মাঝে
কী হাসে? কী হাসে?
একচিলতে তিল!
যেন প্রিয়তম দিল।
কী যেন বলে কা’রে
কাতর হয়ে ডাক পাড়ে।
হায়!  চিবুকেরই তিল!
তোমাতে হারিয়ে সবি
তন্ময় হয়ে ভাবি।


তাহার কেশেদের দেশে
আগুন-ফাগুনের মাসে
খেয়ালী বাতাস নিঁদ ছেড়ে
খেলা করে অভিসারে;
আমারও খেয়ালী বশে
মন চায় চুপিসারে
হারিয়ে যাই বিনা দোষে
তাহার ওই কেশেদের দেশে।
হায়! গভীর কেশ! কালো মেঘের দেশ!
তোমাতে হারিয়ে সবি
তন্ময় হয়ে ভাবি।
দেখেছিলেম কি সে ছবি!


১৯.০৫.২০১৮
-ক্যারূ মানদল-
লাবাক, টেক্সাস