আমি স্বাধিনতার কথা বলি! স্বাধিনতা যে আমার গর্ব
আমি বাঙ্গালি! বাংলার গ্রামেই আমার জন্ম
আমি বাংলার নাগরিক! অসদাচারীকে দেখতে আমি অন্ধ
আমি স্বাধিন! তবুও আমার কণ্ঠস্বর হয়ে আছে বন্ধ।


আমি চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ দেখিনি
আমি একুশ শতকের অনাহারীকে দেখেছি
আমি একাত্তরের রাজাকারদের দেখিনি
আমি ইদানীন্তন চাটুকারদের দেখেছি।


আমি একাত্তরের স্বাধিনতা দেখিনি
আমি একুশ শতকের অধিকার হরণ দেখেছি
আমি মুক্তি যুদ্ধে পাকিস্তানি দেখিনি
আমি স্বাধিন বাংলায় স্বর রুদ্ধ করা বাহিনী দেখেছি।


আমি দেখিনি বায়ান্নের তেজস্বী যুবক
বীর বাঙ্গালির প্রেমিক সালাম, রফিক, জব্বারকে
আমি তো দেখেছি স্বাধিন হওয়া দেশে
বুক ফুলিয়ে চলা আমার বোনের ধর্ষককে।


আমি স্বাধিনতার কথা বলি! তবুও মনে প্রশান্তি জাগে না
আমি শিক্ষিত সমাজ দেখি সদাচরণ কবু দেখি না
আমি জনসম্মুখে হেঁটে সত্যবাদীতার কথা শুনি
পর্দার অন্তরালে তবুও আমি মিথ্যার প্রণয় কেন বুনি?


আমি যাদেরকে দেশ প্রেমের কথা বলতে শুনি
আমি তাদের মাঝে দেশপ্রেম দেখিনা
আমি উন্নত জাতি গড়ার কথা শুনি
তবুও আমি মানব সম্পদের উন্নতি দেখি না।


আমি তো দেখি মাতৃভূমিতে থেকে
অর্থ পাচার করে বিদেশে টাকার পাহাড় গড়তে
আমি তো দেখি শিক্ষার মানকে ক্ষুন্ন করে
অনুচিত শিক্ষায় ছাত্রের মগজকে বিকৃত করতে।


আমি তো দেখি প্রভাবশালীর সম্পদের কোটা
এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গৌরব করতে
আমি তো দেখি অনাহারী মা খালি পাতিল নিয়ে
বাচ্চাসহ নিজের ঘরে কান্না করতে।


তবুও আমি স্বাধিনতার কথা বলি!
স্বাধিনতা যে আমার ভূমির অক্টোপাস
তবুও আমি দেশপ্রেমের কথা বলি!
দেশপ্রেম যে আমার দেশে স্বর্গেবাস।