আমি যান্ত্রিক,
অনেক বেশি একঘেয়ে কাটে আমার সময় ।
ইট কাঠের দেয়ালের ছোট্ট পরিসীমায় ।
আমি শুনি বিরহের গান,যখন তখন ই,
অনেক বেশি আবেগি আর একাকী মনে ।
মাঝে মাঝেই বড্ড বেশি ভাবুক আমার মন,
না পাওয়ার হাহাকার পুরিয়ে ছাই করে আমায় সারাক্ষন ।
আবার পুনর্জন্ম নেই ফিনিক্স পাখির মত,
নতুন করে দগ্ধ হই ।
মাঝে মাঝে সুভ্র সুনিল বাতাসে গা ভাসাই,
কথা কই মাঝ রাতের চাঁদের সাথে ।
অতঃপর, জেগে রই সারা রাত খোলা চোখে ।
মাঝে মাঝে জোৎস্না কুড়াই,
দিগন্তহীন সবুজের প্রান্তরে হারাই ।
কখন করি আড্ডা বাজি মন খুলে,
আবার কখন, শুধুই তোমাকে ভুলে থাকব বলে ।
আমি জীবনানন্দের ভাষায় খুজি বাংলার রূপ,
কখন বা জ্বালাময়ি সুকান্ত,কখন বা বিদ্রোহী নজরুল ।
কখন আবার নীল পদ্মের অন্নেষনে,
বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে খুজে ফিরি,
হয়ে যাই আমি সূনীল।
কখন খুজে ফিরি তোমায়,
শিরোনামহীন কোন গল্পের উপমায়,
ভোর হতে সন্ধায়,
কখন আবার রবি ঠাকুরের শেষের কবিতায় ।