দেখ তো চিনতে পার কিনা ,
এই মাঠ , পথঘাট , সেই সবুজ গ্রামখানা ।
চারিদিক সবুজে ছাওয়া , সুপারির গাছে ঢাকা ,
যেখানে জন্ম বেড়ে ওঠা ।
দেখ তো চিনতে পার কিনা ,
আমার এ গ্রামখানা ।
যেখানে কেটেছে তোমার আমার শৈশব ,
কৈশরের মধুময় দিনগুলি ।
যেখানে খেলেছি নানান রকম খেলা ,
এক সময় যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল আমাদের পৃথিবীটা ,
দেখ তো চিনতে পার কিনা ,
আমাদের সেই সোনালী গ্রামখানা ।
হয়তো পারবে না ।
কৈশরের মধুময় দিনগুলি না ফুরাতেই
তুমি চলে গেছ শহরে ।
তাই হয়তো , সেই শহুরে স্মৃতির ভীড়ে
গ্রাম্য স্মৃতিগুলো অভিমান করেছে ।
কিন্তু একবার তাদের মনে করে দেখ
তারা কত মধুর ,কত রোমাঞ্চকর ।
যা তুমি সারা জীবনেও পাওনি ,
তার চেয়েও বেশি পাবে এই গ্রামে , মুহূর্ত মাঝে ।
তোমরা শুধু মিছে মিছেই শহরে ছুটছ ,
শহর তোমাদের কি দিয়েছে ?
কোলাহল আর বিষময় পরিবেশ , এই ।
কিন্তু গ্রাম তোমাকে দেবে অপার শান্তি ,
দুই নয়নের তৃপ্তি , ভালোবাসার ছোয়া ।
নেমন্তন্য রইল , একবার এসো আমাদের গ্রামে ।
সুপারি পাতার পাখায় শরীর জুড়াব ,
তাজা সবজি আর সুগন্ধি ভাতে পেট ভরাব ,
চাঁদের আলোয় ঘুম পারাব , ফিরে যাব শৈশবে ।
নেমন্তন্য রইল , আর একবার এস আমাদের গ্রামে ।


বি : দ্র : এই কবিতাটি অষ্টম শ্রেণীতে পড়া কালীন সময়ে লিখেছিলাম । যা পরবতির্তে ২০০৮ সালে প্রতীক প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত  "দেশের কথা ভাবি" নামক বইয়ে প্রকাশিত হয় ।