* * *এটি শ্মশান কবিতাটির তৃতীয় অংশ যা গত পরশু থেকে পোষ্ট করা শুরু করেছি । কবিতাটি একটু সাইজে বড় হওয়ায় আরও কয়েকটি অংশে পোষ্ট করব । আশা করি সবাই আমার কবিতাটি পড়ে কেমন লাগল জানাবেন ।
* * * * * * * * * * * * * *


ঐশ্বর্যের মাঝে বেড়ে ওঠা পিতা মোর ,
অভাবের কষাঘাতে , পারি দিল পরপারে ।
সিঁদুরহীনা মা মোর স্বামী শোকে
সাতদিনও রহিল না , সাড়া দিল তাঁর ডাকে ।
তারেও পোড়ায়েছি এই শ্মশানে ,
সে যে কত কষ্ট , তা কি পাথর সহিতে পারে ?
চাঁদের মতন ফুটফুটে মোর ছোট ভাইটি
রুপে গুণে যেন স্বয়ং রাম জী ।
চাঁদের মতন মুখে তাহার থাকিত সদা হাসি
জ্ঞানের আশে শত কৌতুহলে ছিল সে কৌতুহলী ।
ভেবেছিনু , ভাই মোর বড় হয়ে ,
ফুল ছিটাবে কুলের মুখে ।
আশার মুখে ছাই দিতে সহসা সেদিন তারে ,
ধরিল অচীন বিমাড়ে ।
শত চেষ্টা , ডাক্তার কবিরাজে সাড়িল না ,
সাড়া দিল শ্মশানের ডাকে ।
মুই অভাগা আপনার হাতে
পুড়িনু তারেও শেগুনের খাটে ।
আহা কহিতে যে আজ পরাণ ফাঁটে ,
ভীষণ আর্তনাদে কাঁদিয়া ওঠে মন ।
আপন বলিতে একে একে
সবারেই পুড়িনু , এই শ্মশানের ঘাটে ।
শুধু বাকি থাকিল দিদি ,
কৃপন স্বামীর সাথে হয়েছিল সাদী ।
একদা হঠাত্‍ পদব্রজে , আসিয়া হাজির উঠোনে ,


        ( অসমাপ্ত )