সে পাতা টি খুলতে আমি কিছু এলোমেলো অক্ষর দেখতে পায়।যা দেখতে সহজ বাংলা লেখা কিন্তু তাও আমার কাছে তা পড়তে কষ্ট লাগছে।এখন বলতে পারে কেন?এতো সুন্দর লেখা দেখে মনে হলো মেয়েটি অনেক শিক্ষিত হয়েছিলো শুধু নিজের জীবনের আলো জ্বালাতে।কে সে খুনি যে নিমেষেই আলো নিভিয়ে দিয়েছে তার।কাগজের পাতায় হালকা হালকা ধুলোবালিছাই সাথে লিখা রয়েছে।
"আজ আমি প্রমোশন পেয়েছি।যা দিয়ে আমি দেশের বাড়ি জুহুরপুরা যাবো। ইস অনেক দিন পর যাওয়া হচ্ছে আমি অনেক খুশি।" প্রথম কথা সে একলা ঘরে কেনো বা এগুলো লিখবে।কাকে সে এগুলো জানাতে ছেয়েছে।আরো অনেক ক্ষন ঘুরে দেখলাম আরো কিছু পাওয়ার আশায়। অনেক সময় আপ্রাণ চেষ্টা পর আর বিশেষ কিছু পায় নি।তাই ঘরের দিকে রওনা দিলাম। ও কহিলেশ দরজা খুল।খুলছি" কি বেপার যে কিনা পাড়া গলি ডিঙানোর জন্য আমার থেকে কত কিছু বলে ও বাহিরে নিতে পারি না আজ সেখানে এত বাহিরে ঘুরা ঘুরি আবার শশুর বাড়িতে ও কত ঘুরা ঘুরি করলা।কি রাস্তা প্রেমিক হলে কেমনে?কহিলেশ রাখো তোমার কথা খেতে দাও দেখি। নতুন সকাল নতুন তদন্ত।আজকে নিজেকে আর কৃপটা না মনে করে। মার্কেটে গেলাম আমার বাদ্য বউয়ের জন্য একখানা শাড়ি কিনলাম। আবার এটি মনে করবেন না যে সস্তা কিনেছি।মুটামুটি এক হাজার উপর খরচ করে কিনেছি। হাঁটতে হাঁটতে বাসার সামনে আসি দরজায় কড়া দেওয়ার আগে মুখের ঠোঁটের পাশে হালকা মুচকি হাসি দিয়ে বউ কে ঢাক দিয়ে থাকে তার উপহার দিলাম।কহিলেশ তো উপহার পেয়ে আমার পকেট থেকে টাকা নিয়ে আমাকে বেশ মজার খাবার আয়োজন করে।আমি ও তা খেয়ে আমি পেট শান্তি করি।রাতে ঘুমানোর আগে তার কথা হালকা গভীর ভাবে চিন্তা করি। হঠাৎ রাতে স্বপ্নে দেখি, পিশাচ তুমি কেন ভালোর পিছনে লুকিয়ে আছো।আমাকে হত্যা করতে সে পিশাচের কোনো মায়া হয় নি।সে মেয়েটি আর্তনাদ করে উঠলো।আমি ও চিৎকার করে উঠে পড়লাম।দেয়াল ধরতে ধরতে বাথরুমে গিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছি হঠাৎ চোখ ঝাপসায় আয়নায় হালকা ঝলকে কি দেখলাম এটি।এই কেমন করে হতে পারে।আমি আমার চোখ কে কেমন করে বিশ্বাস করিব।চোখে পানি দি আর চিন্তা করি আরে ভয়ংকর স্বপ্নের জন্য হয়তোবা এমন দেখিছি।
এক চুমুক স্পর্শ রাঙিয়ে দিয়েছি এক কাপ চা কে।সকাল হতে শীতের সময় এক কাপ চা সামনে না আসলে মনে হয় হিমালয় হতে বরফ আগুনে জ্বলছে।হাতে খবরে কাগজ পৃষ্ঠা উপর পৃষ্ঠা পড়তে পড়তে চোখ পড়ে এক জায়গায়।লেখা আছে,
  
          গুহার ভেতর লুকিয়ে থাকে পাপি
             বর্ষা এলে জমিয়ে পড়ে পানি।
            জলের বাঁধে কাঁপিয়ে গেল গলি
                বাঁচতে পারে না সে পাপি,
                       অন্ধকারের বাতি।
    একদিন সে বাহিরে আসবে পিশাচ নামে খুনি।


এটি পড়ে ঠিক মনে পড়ে গেল সে কুলুভনি সেই অসহায় মেয়েটির হত্যা খুনি কে নির্দেশ করছে বলে মনে হবে সকলের।কি আশ্চর্য একটি মেয়ে খুন হলো তাও কেন সে খুনি কে খুঁজে পাচ্ছি না।জানি সে লুকিয়ে আছে কোন জায়গায়।যাক অনেক সময় পর বাহিরে বের হলাম।আজ কে হঠাৎ মনে পড়ে মেয়েটি কুলুভনি মাঠে কেন যাবে সে তো শহুরে মেয়ে।আর যদি যাই তাহলে বাহ স্টেশন হতে বাস করে চড়ে যেতে হবে।আমি ও রিকশা করে বাস স্টেশনে গেলাম,তখন দেখা করি বাস কন্ডাক্টর কাছে গেলাম।চাচা একটু কথা জানার ছিল।ভাই এখন না পরে আসেন এই সময় টিকেট বিক্রি হয় না।আরে ভাই শুনেন আমি টিকিট কিনতে আসি নাই।তখন সে বলে ওঠে তো তবে কেন দরকার আমাকে।ভাই আপনাদের কাছে টিকিট কিনলে তা কি কোনো খাতায় সংগ্রহ করে রাখেন।সে উওরে বলে,হ্যা অবশ্যই কিন্তু এগুলো কাউকে দেখানো হয় না।আমি বললাম দয়া করে এটা অনেক জরুরী একটা মেয়ে খুনের বেপারে।কিহ বলেন এইসব আমরা কিছু করি নাই।আরে আমি কি আপনাদের দোষ দিয়েছি। আচ্ছা চার মাস আগে বাস একশ বারো কুলুভনির টিকিট বাসের লিস্ট টি বাহির করেন।এই নেন ভাই।আমি তখন আধ ঘন্টা ঘাঁটাঘাঁটি করার পর সে মেয়ের নাম পেলাম। কিন্তু সে তো কুলুভনির পরের গ্রামে যাওয়ার জন্য টিকেট কিনেছিলো।তাইলে কোনো সে কুলুভনি গ্রামে নামবে।এই কেমন রহস্য।একটি সিগারেট জ্বালিয়েছি মাথায় কিছু ডুকছে না তাই চিন্তার জিনিস বটে।