শিশির কণার মতো বিন্দু বিন্দু ঘাম
খেলা করে অহরহ তোমার বদনে
আমার কিশোরী বধু, একটু দাঁড়াও
পূবের জানালাপথে ধানীরং শাড়ি পরে
খোলাচুলে এলোমেলো, দূরে দাঁড়িয়ে আমি
বাউল নয়নে দেখি তোমার ঠমক ।


সকালের সোনারোদে কাজলাদিঘীর ঘাটে
এলোচুলে এসো সখি কলসী কাঁখে
হৃদয় উজাড় করে দেখবো তোমার
তালে তালে পথচলা, সোনালী নূপুর ।


লুকোলে দিনের কায়া সাঁঝের মায়ায়
চুপিচুপি এসো বধু, ভয়ে ভয়ে শব্দহীন নিরবতায়  
দেখবো দুচোখ মেলে তরতাজা ঠোঁট
পাখির বাসার মতো ডাগর নয়ন, যে  
ইশারায় কথা বলে বাকুম বাকুম ।

বাড়িময় লোকজন ঘুমিয়ে গেলে  
মাঝরাতে এসো সখি নূপুর খুলে
ফুলতোলা বিছানায় উতাল মাতাল
হারিয়ে যাবো দুজন প্রেমাক্ত জলে ।