শুধু শিখরের গল্প শুনেই জীবন কেটে গেল,
শিকড়ের কথা আর শোনা হলো না।
পত্র ভরে আছে সবুজে যত্রতত্র,
মূলের দেখা কেউ পেল না।
পত্রের মিতালী আলো, হাওয়া, বৃষ্টির সাথে;
দেখে আলোর নানান রূপ;
ভোর, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা।
পত্র পরশ পায় নানান হাওয়ার;
কখনো মৃদু, কখনো ঝড়ো
আর বৃষ্টি তাকে ভেজায়,
করে সতেজ, পায় কাঙ্ক্ষিত স্নান।
শিকড় আঁকড়ে থাকে মাটি,
গভীরে তার বিস্তৃতি,
দেখে না কেউ।
শিকড়ের কথা কেউ বলে না,
গায় না গুণগান,
তবু শিকড় করে না অভিমান।
চোখেরা অবুঝ, শুধু দৃশ্য থেকেই ফিরে আসে;
শিকড় থাকে আড়ালে, মাটির সাথে;
অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে।
শিকড়ও আলো দেখে, গায়ে মাখে হাওয়া, বৃষ্টি;
ভেবে নিজেকে পত্রের মাঝে।
সারা জীবন শিখর দেখেই কেটে গেল,
এবার শিকড়ে যাক দৃষ্টি।