বানাতে চেয়েছিলাম আমার কবিতা  তোমাকে,
তুমি সারা দিলে, কিন্তু নিজেই দূরে সরে গেলে।
কবিতার প্রতিটা শব্দ মালায়, তোমার মালা গেঁথেছি।
একটি একটি করে শব্দ, লাল সুতায় আবদ্ধ করে,
তোমার অশান্ত মিষ্টি হাঁসি দিয়ে, লিখেছি আমার কবিতা।
কবিতার প্রতিটা চরণে, তোমাকেই জাগ্রত স্বপ্নে বসিয়েছি।
সম্মুখে নও, তবুও সম্মুখে বসিয়ে, সৃষ্টি করেছি আমার কবিতা।


তোমাকে আমার আলপনায় আঁকতে চেয়েছিলা্‌ম,
আঁকার পূর্বেই, হাত থেকে তুলিটা কেঁড়ে নিয়ে নিলে!
রঙ-তুলি সবে মাত্র এনেছি, তোমাকে আলপনা এঁকে,
মেহেদি সাঁজে সাজিয়ে, প্রস্ফুটিত করবার জন্য।
পুষ্প প্রস্ফুটিত হবার পূর্বেই, ঝড়ে গেলো নিদারুন ভাবে।
তুমি নিজেই নিজের বৃক্ষ, নিজ হস্তে নিরাশ করে দিলে।
তুমি যে কে, সেটা সেভাবে ই সমাপ্ত করে দিলে।


এখন আর গোলাপের চাষ করা হয় না,
গোলাপের প্রতিটা পাপড়ি, ঝড়ে পড়তে শুরু করেছে।
এখন আর কবিতা লিখতে ইচ্ছা করে না,
কবিতার কবিতা ই যদি হারিয়ে যায়,
তাহলে কেমন করে লিখবো আমার কবিতা।
কবিতার কবিতা, শুধুই তোমাতে তুমি।
তুমি কবিতা, আমার অঙ্কিত আলপনায় আঁকা কবিতা।
তুমি ছিলে, শুধুই আমার কবিতা।
আমার কবিতার অলঙ্কার তুমি।।
কবিতা, তুমি আমারই কবিতা।।।