বায়ান্নতে জন্ম তোমার, তুমি অমর একুশে ফেব্রুয়ারী
কালোর মাঝে রক্তে রঞ্জিত, তুমি আমার বীরবাঙ্গালী।
পাকিস্তানীর মুখের পড়ে, জবাব দিলো এই যে জাতী,
আমার প্রাণ বাংলা ভাষা, বীরবাঙ্গালীর ন্যয্য দাবী।


ফুঁসে উঠল জিন্নাহ্‌-ইয়াহিয়া, পাকিস্তানী সৈরশাসক
লিলিয়ে দিয়ে জীবন নিল, রাজপথ সেদিন রঞ্জিত হল।
জীবন দিল বীরের জাতি,  রফিক, শফিক, জব্বার
ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, বণিক নাম না জানা সবার।


চুয়ান্নতে নির্বাচন হলো, সেও ছিল তোমারই কারণে
ছেষট্টির ছয়দফা দাবী, তাও ছিল তোমায় বাঁচাতে প্রাণে।
ঊনসত্তুরের গণভ্যুত্থান, হটাও এবার পাকিস্তানী
এবার হবে স্বাধীন বাংলা, বাঙ্গালীদের ভাষার দাবী।


৭১ সালের ৭ই মার্চে, রেসকোর্সের ঐ বজ্রকন্ঠে
স্বাধীনতার ডাক যে দিল, বঙ্গবন্ধুর ঐ গর্জনে।
২৫ মার্চের সেইযে রাতে, হায়না দিল হানা
ঘুমের ঘরে অপারেশন চার্চলাইট, হল তাণ্ডবলীলা।


বীরবাঙ্গালী ঝাঁপিয়ে পড়ল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে,
২৬ মার্চ স্বাধীনতা'র ঘোষণা, বিজয় ১৬ই ডিসেম্বরে।
ভাষার দাবীতে হইল শুরু, রাজপথে ৫২'র আন্দোলনে
ভাষা সহ স্বাধীন বাংলা, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ এর বিজয়ের উল্লাসে।


অমর একুশে ফেব্রুয়ারী, আজও করছে স্মরণ সেই বাঙ্গালী
বাঙ্গালীয়ানা দীপ্ত চেতনায়, জাগ্রত আছে যেই বাঙ্গালী।
রক্তগাঁদার শ্রদ্ধাঞ্জলী,  প্রভাত ফেরীর অমর গানে
আজো চলে দলে দলে, সারিবেঁধে শহিদমিনারে।