এমন একটি সময় সম্মুখ সাড়িতে,
জীবনের পঁয়তাল্লিশটি বছর পেড়িয়ে
ছেচল্লিশে পদার্পণ করেছি আজ।
জীবন চলার পথে আনন্দ-হাসি
সুখ-দুঃখ, রাগ-অভিমান, হিংসা-বিদ্বেষ,
লোভ-লালসা, লোক ঠকানো কত কি!


কি হবে? ভেবেই পাইনা নিজের অস্তিত্ত কোথায়?
শৈশবে বাবার হাত ধরে হাটতে শিখেছি।
মায়ের মমতাময় স্নেহ-আদরে বড় হয়েছি।
শিক্ষা গুরুর স্বান্বিধ্যে শিক্ষা-জ্ঞান লাভ করেছি।
পরিবারের পারিবারিক শিক্ষা,সংস্কৃতি, সংস্কার
মস্তিষ্কে ধারণ করে সামনে এগিয়েই চলেছি।


পরিবার,সমাজ,গ্রাম,শহর,নগর,মহানগর,  
রাজনীতি,সমাজনীতি,রাষ্ট্রনীতি,ধর্মনীতি,
সমস্তনীতি দেখতে-শুণতে আজ মনে শুধু একটা প্রশ্ন?
কোথায় এই মহাজাগতিক সুখের ঠিকানা?
উত্তর মেলেনা, হতাশার অসহায় দারিদ্রতা।


সংসার সুখের মহাসমারোহে জ্যেষ্ঠোর
দিবা-নিশি চিন্তা-চেতনার ক্লান্তির ললাটের ভাঁজ।  
সমাজের সমাজপতির আধিপত্তের তান্ডব লীলা,
অসহায় ছিন্নমূলের আর্তনাদের বুকচাঁপা কান্না!  
রাজনীতির ক্যানভাসে নিজের লালসা মেটাতে,
অসহায় সাধারণ জনমানুষের বিপন্ন জীবন।


ধর্মনীতির প্রতিহিংসার দৌরাত্তে জনজীবন আজ,
দাবানলের অগ্নিশিখায় বিপণ্ণ বাঙ্গালী জাতিসত্তা।
আজ বারে বারে মনে পড়ছে, বাংলার অধীশ্বর,  
বাঙ্গালী জাতির অহংকার,বাংলার প্রতিষ্ঠাতা,
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তোমায় মনে পড়ছে বার বার।


হে বিশ্ব বন্ধু, হে বঙ্গবন্ধু তুমি কি দেখতে পাচ্ছো?
বাংলা মায়ের আর্তনাদের আহাকার!
তুমি নিজের জীবনকে আত্মত্যাগ করে,
বিশ্ব মানচিত্রে অঙ্কিত করেছিলে,
স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, সোনার বাংলাদেশ।
হিন্দু,মুসলিম,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান একই বৃন্তে একটি জাতি,
নয় ভেদাভেদ, ভাই ভাই, সে যে তোমার স্বপ্ন সাধনার
সোনার বাংলায়, সোনার বাঙ্গালী জাতি।


জারি,সারি,ভাটিয়ালি,পল্লী,লোকগীতি,
পালা,যাত্রা,কবি,অস্টক,মঙ্গল শোভাযাত্রা,
বাংলার ঐতিহ্য বঙ্গবন্ধুর বঙ্গের অহংকার।
কিন্তু কোথায় আজ, সেই বাঙ্গালী জাতির ঐতিহ্য?  
বাংলার রূপবৈচিত্র, বাংলার হাস্যজ্জ্বল রূপ?
কোথায় সেই? জারি,সারি,ভাটিয়ালি,পল্লী,লোকগীতি,  
পালা,যাত্রা,কবি,অস্টক,মঙ্গল শোভাযাত্রা?


সেদিনের সেই পাক শাসকের জুলুম,
সোনার বাংলার সোনার সম্পদের লুট।
তাদেরই কি ছিলো শুধু লালসার দোস?
আজও কি হচ্ছে না? সোনার বাংলার সোনার সম্পদের লুট?
এই বাংলার কৃষক,শ্রমিক,সাধারণ,মধ্যবিত্তের কষ্টার্জিত সম্পদের লুট?
বুঝলনা কিছু ক্ষমতা লোভী, তোমায় বঙ্গবন্ধু!


লাখো শহীদের রক্ত, সপরিবারে তোমার বলিদান,
সবই ছিলো বাংলার শান্তি, দিয়ে গেলে অধিকার।
তবু তারা আজও বুঝলো না তোমার স্বপ্ন স্বাধিকার?
নিজের সুখ লালসায়,বাংলার সম্পদ নিয়ে তারা,  
নিজের দেশকে ঠকিয়ে, দিচ্ছে অন্যের দেশ পাড়ি।
কি দরকার ছিলো তবে এই স্বাধীনতার?


মায়ের কোলে জন্ম নিয়ে, মায়ের আঁচল তলে বড় হয়ে,
মাকেই তারা অবহেলায় রেখে, অন্যের মাকে বলছে তারা মা।
হায়রে আমার মা জননী, মাতৃভূমী মাংলা মা!  
তোমার আর্তনাদ দেখবার যে আজ, আর যে কেউ নেই?
যে ছিলো তোমার সন্তান, সে যে আর নেই গো মা!
হায়েনার দলে, তোমার আদর্শের আদর্শিত সন্তান-
বঙ্গবন্ধুকে তারা নির্মম ভাবে, করে দিলো নিঃশেষ।


ওগো আমার মাতৃভূমী মা, কেঁদো না মা, না কেঁদো না তুমি।
তোমার আর্তনাদ হাহাকারের কান্না মোচনে,  
আজও বেঁচে আছে তোমারই আদর্শের উত্তরসূরি।  
বঙ্গ রক্তে লালিত, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে
বাংলার আনাচে কাঁনাচে, প্রান্ত থেকে দুর প্রান্তে,  
উন্নয়নের ধারাবাহক,তোমার আদর্শ সন্তানের স্বপ্ন পুরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ,  
ডিজিটাল সোনার বাংলার রূপকার, বাংলার গৌরব,বাংলার অহংকার,
তোমারই স্নেহ-আদরের,বঙ্গের বঙ্গবন্ধুকন্যা,
শিক্ষামাতা, জননেত্রী শেখ হাসিনা।


স্বশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই আজি, তোমায় শেখ হাসিনা।
তুমি বাংলার গর্ব,বাংলার অহংকার,বাংলার জন সাধারণের আস্তা।
শ্রদ্ধাভড়ে জানাই প্রণাম, তোমায় আজি এক্ষণে।।