আমি তাকিয়ে থাকি,দেখি ঐ অরুনোদ্বয় ভোরের আলতো আবরণী মিষ্টি কুসুমাস্তীর্ণ আভার মাঝে।
আমি দেখি দুপুরের রৌদ্র কিরণের ঝাঝালো রোদেলা মিছিলের আলোর বিকিরণ নিঃসরণ মিশ্রণে।
       আমি হতবাক দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে থাকি পশ্চিমের গোধুলী কাননে। সিঁদুরের আলতো রাঙা শুধু পায়ে নয়, সর্ব অঙ্গে জরানো আলোর ঝলকানী কিরণ পূর্ণ আকস্মিক চমকানো প্রকৃতির অপরূপ শোভামন্ডিত মাধুর্যপূরর্ণ রূপের সমাহারে।
         প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের পাখ-পাখালী, গ্রহ, নক্ষত্র, সুনীল আকাশ, জলরাশি, সবই তোমারই অপরূপ সৌন্দর্য মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। প্রকৃতিও তোমার অপরূপ মাধুর্যময় সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে মহাদিগন্তে আনন্দে আত্মহারা  হয়ে অবলোকন মহাসুখে নিজেকে নিমজ্জিত রাখতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছে।
             তোমার স্নিগ্ধ রসভরা মিষ্টতায় ওষ্ঠ বিহারি তরঙ্গে বিশ্বজোড়া অলৌকিক সুখময় হাঁসি, মুগ্ধ করে তোলে প্রকৃতির স্মৃষ্টিময়তাকে। আর আমি মুগ্ধতায় পেয়েছি চিরো সুখের,স্মৃষ্টি সুখের উল্লাস।
           আমি দেখি ত্রিনয়ন একত্রিত করে অনাবিল সুখের ঠিকানা। তোমার চোখের দিকে পলক বিহিনে তাকিয়ে জাগতিক মহাসুখ অনুভব করতে শিখেছি।  ত্রিনয়ন এক করে তোমার চোখে তাকিয়ে থাকি যখন, অনুভূতি অনুভবে অবলোকন করি, মনে হয় তুমিও পলক বিহিনে একচিত্তে তাকিয়ে আছো।
         তোমার ওষ্ঠ বিহারে যে মধুময় মিষ্টি  হাসি, মনে হয় তোমার ঐ হাসিতে সমস্ত ধরায় মহা আনন্দে নৃত্য প্রদর্শন করছে। তুমি এ মহা বিশ্বলয়ে অপরূপা অপরূপের মহা প্রকাশ। তুমি অনাবিল সুখ,চিরো বসন্ত।
তোমার মাধুর্য দিয়ে তুমি ফুটিয়ে তোলো সর্ব প্রাণীকুল,জাগিয়ে দাও মহা আশার আলো, ভরিয়ে দাও হৃদয়ের শূন্যতা।
জানি তুমি দেবে নাকো সারা,না দেবে অভয়বাণী। তবুও তোমার জয়ধ্বনি জয়গান গেয়ে চিরো ম্লান হয়ে মিশি রবো তোমার মাধুর্যময় অপরূপ সৌন্দর্য্যের সমাহারে।
তুমি বাংলা নববর্ষের আগমনী বার্তা, তুমি গ্রীষ্মের মধুমাস জ্যৈষ্ঠের আম কাঠালের সুবাশিষ, তুমি বর্ষার রিমঝিম বৃষ্টি'র  বেলকনির শোভা, তুমি শরতের সাদা কাশ ফুলের সৌরভ, তুমি হেমন্তের নবান্নের পিঠে পায়েসের ধুম, তুমি শীতের সকালের শিউলি ফুল আর খেজুর রসের ভেজানো পিঠের স্বাদ,  তুমি ঋতু রাজ চিরো বসন্ত, তুমি ঋতু ঘেরা বাংলাদেশ।