আমি তোরে চাই হে রমনী আমি তোরেই চাই
যে হনে তোকে দেখেছি আমি ঐ মাঠোরো তনে
তোরে আমি দিয়েছি স্থান এ হৃদয় অন্তরণে
তোর ঐ নয়নাভিরামের অতল কালো ছায়ায়
আমি ত বাধা গেছি তোর নেত্রদ্বয়ের মায়ায়
যে হনে তুই তাকালি মোরে তোর নয়ন মেলি
মনেরো মাঝেতে আমারো কাছেতে তুই ত আমারই হয়ে গেলি
হে রমনী
তোর সাথেতে বলিতে যদি পারিতাম দুটি কথা
হয়ত মোর এ অতৃপ্ত জীবনের বুজিত সকল ব্যাথা
তোর সনে আমি থাকিবার তরে বেধেছি এ সাধ মনে
বিরলে স্বপনে ভাবি তোরে শুধুই তোরে সারাক্ষণে
সেদিনের পর হল না দেখা আবার তোর সনে
তবুও তোর স্মৃতিগুলো গেছে আছে এ গহিন মনে
আমি ত তোরে ভুলিতে পারি না হে রুমণী মোর হৃদে থাকো সারাক্ষনে
কেন তুই গেথে গিয়েছিস মোর এ অবুঝ মনে
আমি করিতে পারি না কোনো কাজ শুধু তোরে স্মরণ ছাড়া
তোরে যদি আরেকবার দেখিতে না পাই তবে যাব ত আমি মারা
হে রমনী
তুই কি আসলেই মানবিনী না ডানাবিহীন পরী
কেন তোরে ভাবছে সারাক্ষণ আমার এ মনে
আমি ত পারি না ঘুমাতে এই তোরই স্মৃতির তরে
তোর এ স্মৃতি তাড়া করে মোরে স্বপনে একেলা পেলে
তোর যে রূপ দেখেছি আমি কি করে তারে ভুলি
কেন পরদিন সেখানে না থেকে তুই একলা চলে গেলি
দিলি না তোর ঠিকানা যাতে যাব তোর খোঁজে
আমি ত পারিব না তোরে ভুলিতে যতদিন না এ দুচোখ বোজে
তোর সনে অপেক্ষা করিয়া আমি হয়ে গেছি উদাস কবি
তুই কি এ জন্মে আমারে আবার দেখা দিবি?
যদি কখনো প্রকৃতি তোরে জানায় মোর এ প্রেমকথা
তুই কি আসবি মোর তরে রাখিতে এ বুকে মাথা?
আমি প্রতিদিন অপেক্ষা করি ঐ দিপন্তরে
তোর তরে থাকিব অপেক্ষায় আমি যুগ যুগান্তরে