এমন করিয়া কেন হঠাৎ যাচ্ছ চলে তুমি,
কত-টা যতন করেছি তোমায় তাহা কি বুঝনি?
সমস্ত ভালবাসার দুইটি ভাগের একটি দিয়াছি তোমারে
আর একটি রাখিয়াছি আমার জন্য ভাই, বন্ধু এবং পরিবারে।
তোমাতে কষ্ট হবে ভেবে কভু দৃষ্টির আড়াল করিনি
তাহার পরেও এত তাড়াতাড়ি চলে যাবে ভাবতেও পারিনি।
আজ সকালে তোমার এমন রোগা শরীর দেখে বাকরুদ্ধ হলাম
সারাটাক্ষণ এতটা সেবা, এতটা ভাল আমি, কাহাকে ভাসলাম?
তোমাতে কষ্ট হবে ভেবে, আজও খুলিনি তোমার আচ্ছাদন
তবুও কেন চলিয়া যাচ্ছ তুমি, দিনে দিনে হচ্ছো রোগা এমন!
এমন এক কষ্ট কাহাকেও যায় না বলা, রাখিয়াছি এই বুকে
ভেতরে জ্বলছে তোষানল, পুড়ছি আমি ধুকে আর ধুকে।
আজ আবারও যখন দেখিতেছিলাম নিরবে তোমার অবয়ব
পুত্রটানে কাটিল ঘোর, কাটিল নেশা, থামিল কলরব।
গাঢ় সবুজ বরণ দেহখানি তোমার, হইয়াছে ফ্যাকাশে হলুদ
দেখিলেই তোমাকে চোখে আসে জল, কেউ বলুক আর না বলুক।
তোমার কঁচি ডগায় তিনটি পাঁপড়ি, ফুটিয়া হইয়াছে সূর্যমূখী
কেন যে এত দ্রুত হইয়াছ শেষ, এ ব্যথা কেমনে ঢাকি?
কত যে কলি দেখিলাম সেথায়, তাহা ফুটিলনা আর
নিজেকে সঁপিয়া মৃত্যুর কাছে মেনে নিয়েছ হার।
কলিগুলো না ফুটিয়াই হলুদ হইল, জন্ডিসের মত করে
দেখিয়া দু-ফোঁটা অশ্রুজল বিদায় নিলে, নি:শ্বেষ চিরতরে।