খোলা আকাশের নিচে কখনও উষ্ণ কিংবা হিমেল বাতাসে
বলিয়াছি হাজারো কথা, শুনিয়াছ তোমরা একান্ত মনোনিবেশে।
জলপাই ঘেঁষিয়া আমড়া তলে সেই সে মেরুবাকা টেবিলটায়
কাটিয়া গিয়াছে দিন মাস বছর, যা আজ শুধুই স্মৃতির পাতায়।
চৈত্রের দ্বিপ্রহরে প্রচন্ড খরতাপে আমড়া পাতা যখনি ঝড়ে
পোকা ভাবিয়া অনেকে পাইয়াছো ভয়, তাহা কি মনে পড়ে?
বসন্তের কোকিল না আসিলেও সেথায়, শালিক ছাড়িয়াছে বিষ্ঠা
কখনও হইয়াছ রাগ, কখনো বা খাতা বাঁচাইতে ছিল শত চেষ্টা।
তবুও পড়েছে খানেক বিষ্ঠা বই খাতা টেবিল নয়তো ওড়নায়
অনেকে হইয়াছো হেসে কুটিকুটি, কেহ হইয়াছো লাল, ভীষণ লজ্জায়।
রোদ বৃষ্টির কড়া শাসনে কখনও বাহির কখনওবা ঘর
কখনও ফিরিয়া গিয়াছ বাড়ীর দিকে যখনি আসিয়াছে ঝড়।
আবার কখনও সকালের সূর্যের ফিনকি আলোর তাপে
কোমলমতি মুখ হইয়াছে অস্থির, নিশ্চুপ থেকেছো অজানা কোন চাপে।
অঘোষিত কতক দিন যে পড়িতে পার নাই আসিয়া গিয়াছ ফিরি
তাহা মনে হয়ে আজ আকুল এ মন, যাতনায় বক্ষ যাচ্ছে চিড়ি।
শাসনের ডোরে বেধেছি তোমাদের, কভু অফুরন্ত ভালবাসায়
ধরণীর উজ্জল প্রদীপ হয়ে জ্বলবে তোমরা এই ছোট্ট একটু আশায়।
শিক্ষক শিক্ষার্থী এমনই মায়ার বাঁধন, কিসের ঋণ কিংবা ধার?
ধন্যবাদ! ধন্যবাদ তোমাদের, আমায় দিয়েছো এই অসামান্যে উপহার।