জীবন যেখানে নিত্য প্রহসন যাতনার প্রতীমা প্রতীম
সুখস্বপ্ন সেখানেই মরু—ধুধু বালুচর—বিবর্ণ ধূসর
অনাহুত অতিথির মতো আমি আজ কেন ভন্ড ভগমান
পূজার প্রসাদ দিয়ে কেটে যায় সারাবেলা পূজারিনীহীন।


রিক্তমনোঃমন্দিরের চৌকাঠে ঠেকিয়ে মাথা নিভৃতে ভেবেছি
আর কতো দূর যেতে হবে এই একাকীত্ব পথের শেষান্তে
শত জন্ম জন্মাতরে পাথরের পথ পিষে আমিতো এসেছি
মানুষের পদতলে নিবেদিত প্রাণে গেয়ে যেতে শান্তিগীতি।


প্রার্থনার মগ্নতায় মগজের মধ্যকোষ রক্তাক্ত করেছি
সভ্যতার মাঙ্গলিক মহাকাব্য লিখে লিখে — অথচ আমাকে
কেউ কোন দিন শুদ্ধ আলোর দেয়নি দিশা
হোমারের মতো পথ খঁুজে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি শ্রাবণে।


যদি জন্ম—আদি অন্ত বাণী বলি তবে শোনো জীবনের গল্প
বিমাতার রোষানলে শীর্ণদেহে পুড়ে গেছি নীরব নিশ্চুপ
অতঃপর অনাদরে মরে বেঁচে আছি যেন প্রাণহীন মূর্তি
বিষন্ন বসন্তে কেটে গেছে ফেরারী ফাগুন।


তৃষিত মরুর দাহে আমি এক দিক ভ্রান্ত পথের বিবাগী
অপমান—অবজ্ঞার ক্ষেতেই জমেছে লৌহ প্রলেপ পাহাড়
নিষ্ঠুর নিয়তি শুধু আমাকেই উপহাস করে বারবার
বুকশুন্য এই বুকে জমে আছে বিষাদের উষ্ণ হিমালয়।