আমি তো ভ্রমন পিপাসায় কাতর কোন সৌখিন পর্যটক নই
তবুও দিবস রাত্রি অবধি রুটি রুজির সংগ্রামে হাঁটি রাজপথে
ক্ষুধার্ত দুপুরে তুমুল রৌদ্দুরে তেতে উঠে নগ্ন পায়ের তালু
প্রতিদিন রক্তাক্ত পায়ে পদপিষ্ট করি দীর্ঘশ^াসের দীর্ঘতমপথ।


ক্ষত বিক্ষত হৃদয়ের গভীরতা ছুঁয়ে উঠে আসা দীর্ঘশ্বাসে
মেঘ—বালিকার মতো উড়ে যায় যাপিত জীবনের স্বপ্নগুলো
চোখের কোটরে সঞ্চিত অন্ধকার খুবলে খায় মানবমানচিত্র,
খদ্দের খোঁজা সন্ধ্যায় সন্ধ্যামালতীরা আমায় করে উপহাস।


ঐতিহাসিক অন্ধকারের স্তুপ বুকে ঠেলে ঠেলে অবশেষে
আমার কাঙ্খিত গন্তব্যে ফিরতে কেবলই রাত হয়ে যায়
হৈমন্তীকে কথা দিয়েছিলাম আর কখনও কবিতা লিখবো না
এখন শুধু জুঁইফুলের মতো সাদাভাতের গল্প লিখতে সাধ জাগে।


ভালোবাসার রঙ—তুলিতে স্মৃতির ক্যানভাসে এঁকেছি আহত অতীত
বিত্ত—বৈভবের লোলুপ প্রত্যাশায় কাছের মানুষ আজ বহুদূরে
নিঃসঙ্গ নিলয় নির্ঘুমরাতে নিষ্প্রাণ মূর্তির মতো পড়ে থাকি একাকি
রিক্তরাতের দরজায় এসে কড়া নাড়ে একবিংশ শতাব্দীর মৃত্যুক্ষুধা।


আজীবন আমি আসমুদ্রের বিশলতাকেই ভালোবেসেছি
অসীম আকাশের কাছে শিখেছি অন্তহীন উদারতার পাঠ
নিম্নবিত্তের প্রাচীর অক্টোপাস হয়ে ঘিরে রেখেছে আমাকে।


নরকের নীলাভ আগুনে নিজেকে পুড়ে গড়েছি সবার সুখের স্বর্গ
অথচ, মানবকল্যাণে আমি বিশ^বিখ্যাত কবি হতে চেয়েছিলাম
সবই কী আমার নিষ্ঠুর নিয়তির নির্মম পরিহাস নাকি বিধাতার বিধান।