ক্রমাগত লোভাতুর স্বপ্নরা ধর্ষিত হলে নিয়ন্ত্রণ ভেঙে
কুমারী রাতের গর্ভে ক্রমে ক্রমে বেড়ে ওঠে ভ্রম্নণ—অন্ধকার
দিবারাত্রি নিত্যনব নতজানু প্রার্থনায় কাঁদে নষ্টনদী
সমুদ্রের অভিমুখে বালুচরে হয়ে যায় নদীরা নিখোঁজ।


স্বরলিপি ভোলা গানে তিক্তসুর সেধে যায় আহত অতীত
হায়! মাটির গিটার শূন্যবুকে ধরা তার সুরের বিষাদ
মুমুর্ষ তুলসীতলে পূজার প্রদীপ জ্বলে পূজারিনীহীন
প্রদীপের নিভু নিভু আলোয় নিজেকে খোঁজে পরম ঈশ্বর।


বর্ষণ মুখর রাতে রঙিন জলসা ঘরে শুধু শুভ্রজল
করে কতো কোলাহল—ক্লান্তি মেখে পড়ে থাকে নূপুর নিক্কণ
বিবেকের ব্যালকনি পুড়ে ভস্ম হয় ফর্সা—বাহুর রৌদ্দুরে
রতিক্রোধে বিষাদের অগ্রিস্রোতে ভেসে যায় বিবস্ত্র বসন্ত।


পাহাড়ের উষ্ণবুকে শাশ্বত সত্যরা আজ নিদ্রায় নিশ্চুপ
মানুষের মৃত্যুময় অনুভূতি গোখরের ক্রোধে ফণা তোলে
অতঃপর অন্তহীন স্বার্থপর অভিপ্রায় কুঁড়ে কুঁড়ে খায়
এই সুনীল সমাজ সভ্যতার বুকপিঠ ভেতর বাহির।