বিলাসবহুল গাড়ীর মধ্যে হেলে পড়া মাথা
বুকের সুঘ্রানে দারুচিনি দ্বীপ, কল্পলোকে
অথবা দিনের আলোর সাদা জলের মতো,
এত উচো মাপের চাওয়া ছিলনা স্বাধীনের ।
ও কেমনে যেন বুঝে গিয়েছিল, ঐশর্য্য মানে
এক চিলতে সুখের জন্য শুধু নিরন্তর ছুটে চলা ।


কিন্তু ইস্পাতের মতো ধারালো ব্যক্তিত্ব স্বাধীনকে
তার স্বপ্নের কাছে ছোট হতে দিলনা কিছুতেই ।
ঐশর্য্যের নেশা'ই তাকে নিয়ে গেল একদিন
তপ্ত মরুভূমির নির্জন প্রান্তরে ।
যাবার সময় ভাংগা সুটকেসে রেখে গেল
যত্নকরে তার ভালোবাসার আতরের শিশি ।


পাঁচ বছর পর স্বাধীন ফিরে আসল ।
ঝক্ ঝকে তে-তলা বাড়িটি তার চেনার কথা নয়;
মনে পড়ল এরকম  বাড়ির একটা নক্সা সে পাঠিয়েছিল,
এঘর ওঘর খুঁজে শেষে তার ভাংগা সুটকেসটি
পেলো ঠিকই । কিন্তু তার ভালোবাসার আতরের
শিশিটি কোথাও খুঁজে পেলনা ।


স্বাধীনের চোখ এখন শুধুই অবিশ্বাসের তীব্র
দহনে পোড়া খাঁ খাঁ চৈত্রের মাঠ ।