বিভীষিকা পেরিয়ে অন্ধকার থেকে
সূর্য সবে মাত্র উঁকি মারতে শুরু করেছে,
ঘরবন্দী মানুষেরা তখন এক-আধটু বাইরের
পৃথিবীকে আবারো দূষিত করার
পায়তারা খুঁজে বেড়াচ্ছিলো -
এমনি একদিন জামালখানের আকাশটা
হঠাৎ কড়া কমলা রঙ দিয়ে মুহূর্তে ছেয়ে গেলো -
এমন সময়ে মিষ্টি একটা বাতাস
বয়ে যাওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু সেসব বইয়ের
পাতা আর সিনেমার স্ক্রিপ্টে -
এখানে আকাশ এখনো টকটকে লাল!
গল্পের মতো এখানে মোরগের দল ডেকে ফিরেনা -
কর্মে যাওয়ার কি এক ব্যস্ততা সবার!
বাসে চড়তে চড়তে কখনো
আকাশ দেখার ফুরসত হয়না
কেউ বুঝতেই পারেনা
আকাশের রঙঢং বদলেছে।
মেঘেদের ও কি এক ব্যস্ততা!
শতাব্দী পেরিয়ে অবিরাম বয়ে
চলা নদীর মতো আমিও
হেঁটে যাচ্ছি অনিশ্চিত,
অজ্ঞাত গন্তব্যে।
রাতের আকাশের একলা তারার
মতো সবার অগোচরে কষছি
অন্তিম পরিণতির অংক।
এই চার দেয়ালের মাঝে চুরি যাওয়া
শৈশবের স্মৃতি বেশ ভোগায়
সন্ধ্যে নামার মুখে দলবেধে বোকা
বকেদের ফিরে যাওয়ার শব্দটা!
শহরে এসে আমি পাগলের
মতো খুঁজে ফিরেছি একটা সাদা পাখি!
খোঁজ করতে করতে জানলাম
এই কংক্রিটের শহরে কাকেদেরও
নিরাপদ আশ্রয় নেই।
দোয়েল, ফড়িং, কোকিলের
কেউ এখানে থাকেনা।
এখানে থাকে দেওয়ালে দেওয়ালে ব্যানার, ফেস্টুন।
ঝা চকচকে শপিং মল আর খাবারের দোকান।
হরেক রকমের খাবারের ভিড়েও -
অতৃপ্তির একটা ছোট দীর্ঘশ্বাস।
শ্বাসরুদ্ধকর সিনেমা হলের আঙিনা পেরুলেই
বাস্তবতার বলয় জাপটে ধরে আষ্টেপৃষ্টে।
অজান্তেই বলে ফেলি -
এ জীবন কার? মানুষের নাকি ফড়িং এর?