প্রিয় পদ্ম,
তুমি এখন আমার কাছে অতি যত্নে
বন্ধ এক ঘরের মতো।
তুমি, তোমার সবটুকু, তোমার স্মৃতি,
আমাদের গল্পগুলো,
সবকিছু সেই ছোট্ট ঘরে বন্দি।
নেই কোন আসবাব।
তবে মাঝ বরাবর একটি একাকী দোলনা।
কোলাহল ঠেলে মাঝেমধ্যে
আমি সেই ঘরে চট করে ঢুকে পড়ি।
তোমাকে আচমকা অপ্রস্তুত হতে দেখলে
ভালোই লাগে!
স্মৃতিগুলো নেড়েচেড়ে দেখি।
কবিতাগুলোর সাথে কথা বলি।
মাঝরাতে লিখা ডায়েরির দু'এক পাতা
উল্টেপাল্টে রাখি। কখনো কখনো
কিছু খালি পৃষ্ঠা টুকরো টুকরো করে
ছিঁড়ে ঘরজুড়ে ছড়িয়ে দেই। তারপর
দম বন্ধ লাগা শুরু করে। এর, ওর কাছ
থেকে ধার করা বাসি বাতাসে আবার দম
নেওয়ার চেষ্টা করে কিছুটা স্বাভাবিক হই।
খুব দ্রুত ছিটকিনি দিয়ে বেরিয়ে আসি।
তারপর?
আবার ছুটে চলা।
নগরীর পথে পথে, ঘেমে নেয়ে একাকার।
বেঁচে থাকার তাগিতে নাকি ছুটতে হয়।
এক সময় ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত
হয়ে পড়লে, তোমার কাছে এসে শান্তি খুঁজতাম।
কী অদ্ভুত না?
আজকাল, এই ঘরেই প্রশান্তি!
জানো? নিজেকে ফিশ বউল এর কালো মাছটার
মতো মনে হয় এখন। একই চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছি।
এই বৃত্ত ছেড়ে বেড়িয়ে আসা কি কখনো সম্ভব?
গোল গোল বৃত্তবন্দি বাটিতে ঘুরপাক খাচ্ছি।
এপাশ থেকে ওপাশ....
ওপাশ থেকে এপাশ...
নিত্য দিন, প্রতি দিন
হচ্ছি বিলীন.....
ইতি
কল্প