প্রিয় অস্থিরতা

যাত্রিবাহী বিমান উড়ে গেলে
যেমন শব্দ করে কেঁপে উঠে
চারপাশ, অনেকটা সেভাবে,
কিন্তু নি:শব্দে যে কেঁপে ওঠো
আমার স্পর্শে আর চেহারায়
কী অবিকল মিথ্যার আশ্রয়ে সেটা
লুকিয়ে রাখো, তা কখনো জানা
ছিলো না আমার। এ কারণেই কি
বলে দুটো মানুষ পাশাপাশি থেকেও
কখনো টের পায় না তারা কতদূরে?

ঠান্ডায় কুপোকাত হয়ে ঢুঁকতে ঢুঁকতে
কোন একদিন এসেছিলাম তোমার আঙিনায়।
নগরীর বিষাক্ত বাতাস, চোখ ঝলসে যাওয়া
আলো, জনসংখ্যার আধিক্যের কোলাহল,
ফুচকা,চটপটি বিক্রেতার হাঁক-ডাক উপেক্ষা
করে নিবিষ্ট মনে চেয়ে দেখেছিলাম তোমার
চলে যাওয়া। আটকে রাখার অধিকার ছিলো না
বলে আটকাইনি। নাহয় ঝিলিমিলি বেলুন বিক্রেতার
সমস্ত বেলুন কিনে নিয়ে উড়ে যেতাম তুমি-আমি!

তুমি ফিরেছো ঘরে ঠিকই।
আমি আটকে আছি আজো
সেই ফুটপাতে। এদিক-সেদিক
হাঁটি। ভ্যান গাড়ি থেকে মুজো
কিনে হাতে নিয়ে ফিরি - যদি
ঠান্ডায় তোমার পা নীল হয়ে আসে?
হাওয়ায় মিঠাই কিনে বিল দিতে
ওয়ালেট খুঁজে দেখি খুচরো পয়সা
নেই। তোমার কাছে খুঁজবো এই ভেবে
পেছনে ফিরে দেখি - তুমি নেই, কেউ নেই।

ফোর্থ ডাইমেনশনাল পার্রটিকেলের মতো
ঘুরপাক খেতে থাকি এই সময় থেকে সে সময়ে।
তারপর জোছনা মুচকি হেসে আমার হাত ধরে।
কুয়াশা তীব্র থেকে তীব্র হয়।
আকাশ থেকে বিচ্ছিন্নভাবে
ছাই পড়তে থাকে।
হুডির ক্যাপটা মাথায় তুলে দিয়ে,
দুই হাত পকেটে গলে আমিও হাঁটা
শুরু করি আবার। কারণ অদ্ভুত
ছেলেদের হেঁটে যেতে হয় সবসময়
থেমে যাওয়া যায় না।
আমাকেও এই পথ ধরে হাঁটতে হবে।
মহাকালের এই পথ ধরে হেঁটে চলা
একটি ধ্রুবক হয়... 🚶‍♂️

ইতি
নীল অরণ্য