নিদারুণ হতাশায় মুখ গুজে বিছানায় ফুঁপিয়ে উঠে কেঁদে
কেউ জানে না কি কারণ? তাদের কথা, মুখ ফোটে বলে না।
বুক ফেটে চৌচির হতে চায়, নীরবতা সারাক্ষণ
মুক্তির উপায় খুঁজে বেড়ায়। বন্দী দশা, চার দেয়ালের মাঝে
ঐ পাড়া-মহল্লার গলির সামনে ওরা দাঁড়িয়ে,
লকলকে জিহ্বা খেলিয়ে, বিষবৎ নেত্রে।
চলতে পথে যেন  হুমড়ি খেয়ে পড়তে চায়
কোন মতে গা বাঁচিয়ে, হন হন করে গৃহকোণে
নিবৃতে ফেরা হয়, অপমানিতভাবে।
শ্যামলিমা, ক্যামেলিয়া, সুমাইয়া, হোমাইরা, সোনালী, রূপালীরা
নির্যাতিতার প্রতীক-প্রতিচ্ছবি, বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে।


একবিংশ শতাব্দীর গ্লানি, পরাজয়ের নিবু নিবু প্রদীপ,
নিস্তেজ মশাল, কম্পহীন, জড় পদার্থের ক্লেশ।
বাবা-মায়ের ভারী পাথর যেন, কোনমতে পার করে
দিতে পারলেই বেঁচে যায়। তারা এত তাড়াতাড়ি বৃন্তচ্যুত হতে চায় না।
অকালে ঘর-কন্নার কাজ করতে মন সায় দেয় না।
উপায় কি আছে, তথাকথিত সমাজপতিদের
একটু ব্যতয় হলেই, মুখ ঝলসানো বীভৎস বদন,
আঁতকে উঠে মায়ের কলিজা, বত্রিশটা নাড়ী ছেঁড়া ধনের।
পত্রিকায় নিউজ হওয়া ছাড়া আর কিছুই হয় না,


কালপ্রিটদের আশ্রয় দাতারা সেমিনারে গলা ফাটায়
সভা-সমিতি করে, আইন করে। তারপর ইস্যু হারিয়ে যায়
জড়পিন্ডরা এগলি ওগলি ঘুরে বেড়ায়, বেশ্যার গলিত লাভা চাটার জন্যে
না পেয়ে গোলাপ কুঁড়িদের দিকে বদনজর পড়ে।
রাত-দিন ইয়াবা, ফেনসিডিল-প্যাথেড্রিনের জোয়ারে ভাসতে থাকে
ওরা জীবন্ত লাশ, নরকের কীট, লোভের কায়া দস্যু,
রে অভিশপ্ত! ধিক, শত ধিক!
তোদের জন্য যাদের মায়া, তাদেরও ধিক !