ভীষণভাবে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া বুকের ভিতরটা
বহুদিন যাবত স্থির হয়ে আছে।
দু’কামরার ঘরখানি ভীষণ আগোছালো
বারান্দায় বসা হয়না কতকাল, কারণ
নক্ষত্রের দেখা নেই-
কৌতুহলও মিটে গেছে আকাশে ভর করার।
অভিযোগে নয়, প্রচন্ড অভিমান আর ক্ষোভ
যেনো মেঘের মত আঁকড়ে ধরেছে আকাশের জমিন।
নিঃশব্দে যে শব্দের বীজ বয়ন করি
দিনশেষে কুড়িয়ে পাই তার কঙ্কালসার অস্তিত্ব।
নির্লিপ্ত চোখ যেনো ছুটে চলছে বিলুপ্তির পথে।
আমি তো কবেই খুলে ফেলেছি দেহের রাজসাজ
নির্দয়া প্রহরীর অগোচরেই
ভেঙে খানখান হয়ে গেছে বুকের খাঁজ।
যন্ত্রণা বাড়ে, দেহ কুরে কুরে খায় দুর্ধর্ষ কীট
বিষ ছড়িয়ে পরে রক্তের গহ্বরে
তলিয়ে যাই আন্ধকারের সিঁড়ি বেয়ে
যেনো বেঁচে আছি কোন এক অশোকের বনে।
বিষণ্নতার টুকরো টুকরো স্মৃতি ছড়িয়ে থাকে ঘরময়
কিছু পরিচ্ছন্ন, তারও অধিক দুঃখে হয়েছে ক্ষয়।
এই শহর জুড়ে এত হাহাকার
এত জিঘাংসা আর নৃশংসতা
বিবর্ণ চাদরে গা ঢেকে উপুস করি দেবতার নামে
তাঁরেও তো দেখিনা কোনো ভালে-
অস্থির চিত্ত বিগ্রহ করে আপন সত্ত্বার সাথে।