মানুষে মানুষে মিলন বন্ধনে, জগতে ঘটে কল্যাণ
সকল নিদানে সুরাহা করেন, আল্লাহ্-ভগবান ।
গীর্জা-মসজিদ, মন্দির ভরে, তাঁরই গৌরব গানে
কত যে বিপুল সৃষ্টির মহিমা, সূর্য তারারাও জানে ।
এ মাটির গন্ধ মোহিত করে, সতেজ করে যে প্রাণ
দেহের আরাম দেয় সস্নেহে, বৃষ্টিস্নাত আসমান ।
সাজে যে বসুধা রূপ ও রসে, মিটায় প্রাণের ক্ষুধা
বাতাসে তাঁর ছড়িয়ে থাকে, অমৃত বাণীর সুধা ।
আকাশ-জমিন, বন-প্রান্তর, মজে থাকে সেই নামে
তিনিই মহান, আদি-অনন্ত, বিকশিত ধরাধামে।
তিনিই ঢালেন আঁধারে আলো, প্রাণ করেন সঞ্চার
কঠিন বেদনায় ভক্তজনের, তুলে নেন গুরুভার ।
ধর্মে-কর্মে নিহিত প্রজারে, করে যান আশির্বাদ
রৌদ্র-তাপে বৃষ্টি ঝরান, কেটে যায় সব বিষাদ ।
তারেই তিনি উন্নত করেন, যে বাঁচে পরহীতে
তার জীবনে প্রণয়-পুলকে, ভরেন প্রেম ও গীতে।
ক্ষুদ্ররূপে বাঁচান যারে, দেখান সত্যের সন্ধান
দুনিয়ার বুকে পাপও ঘুচান, প্রিয় আল্লাহ্-ভগবান।
চিত্ত যদি এ সকল ত্যাগে, স্বর্থের মলিন ভূষণ
মৌনব্রতে অন্তর মাঝে, নিত্য পাই তাঁর দর্শন ।
স্নেহের আধারে ডুবেই থাকি, তৃপ্ত তাঁরই পরশে
দুঃখ-সুখে তারঁ সামীপ্যে, বাঁচি অমৃত হরষে ।
দিন-রাত্রি তাঁরই ইশারায়, ঘোরে-ফেরে অবিরত
জ্যোতির্ময়; তাঁর আসনতলে, দুনিয়া হয় যে নত ।
সারবে রোগ, দুঃখ ও শোক, দানবের অত্যাচার
মানুষে মানুষে সন্ধি হলে, ঘুচবে সকল ভার।