কবিতা: আনন্দ নৃত্য
আনন্দ নৃত্যে দোলে ধরণীতল, তুষ্ট ভগবান-
আপন শক্তিতে ভরে দেহ-মন,
পুলকিত হয় পরাণ।
দুই বাহু তুলে গায় কীর্তন, ললিত রাগে
তারই স্পর্শ যেনো প্রানে প্রানে লাগে।
নীরব আঁধার ঢেলে জাগে ভৈরবী তপন
ঝরে বৃষ্টির ধারা, হয় স্বপ্নের বীজ বপন ।
যুগ যুগ ধরে চিত্ত ভরে নির্মল সুরে-
বেজে উঠে ঝংকৃতে, চঞ্চল নূপুরে।
আনন্দ সভায় দোলে মন মহাতরঙ্গে
ফোটে শতদল, কিশোরী কমল,
ধরণীর অঙ্গে অঙ্গে।
যদি প্রভাত বেলায় বাজে নূপুরের তান
তব বিষ্ময়ে, নৃত্যের মহিমায়,
সকল দুঃখের হয় অবসান।
দুইবাহু তুলে, অঞ্জলি খোঁপা খুলে,
নমি নিরঞ্জন-ভগবানে।
ভব সংগীতে, পুলক নৃতে
স্থিরতা আনে অধীর পরাণে।

(বিশ্ব নৃত্য দিবস)