দুটো শরীরের ছিটেফোটা রক্ত
এখনও ছড়িয়ে আছে পথের চারপাশে
বাতাসে মিশে আছে অসহায় বাবা ও সন্তানের
আত্মহননের আর্তচিৎকার।
সেই চিৎকার একসময় মিলিয়ে যায়
ছুটে চলা রেল গাড়ির ঝিকঝিক শব্দের সাথে....
ভেজা মাটিতে রোদ পড়ে
লাল রক্ত একসময় রঙ বদলায়
দৃষ্টি ছুটে যায় সেই দিকে।
আমরা রক্তের উপর সূর্যের খেলা দেখি
কিন্তু আয়েশাকে খুঁজে পাইনা।
হতভাগীর দেহ মাটির সাথে মিশে
উর্বরা মাটি হয়ে রয়।
মৃত্যুর পরও বাবার দেহের আড়ালে
লুকিয়ে থাকে আয়েশার ফুটফুটে দেহ-
এটিই ছোট্ট শিশুর নিরাপদ আশ্রয়
যেখানে হায়েনার আক্রমনে
আর কখনো রক্ত ঝরবে না-
মাটি ভিজবে না-
তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে শকুনেরা
উড়বে না ঘরের চালে-
পাগলা ট্রেনও আর ছুটে আসবে না
আয়েশার নূপুরের শব্দকে
স্তব্ধ করে দিতে।।
আয়েশার মৃত আত্মা এখন বাবার হাত ধরে
খেলা করে স্বর্গের খোলা উঠোনে...


(সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত..... সন্তানকে নরপশুর হাত থেকে নিরাপত্তা দিতে না পেরে বাবা আট বছরের মেয়ে আয়েশা কে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাপিয়ে পড়ে)
২৯ মে, ২০১৭
ঢাকা, বাংলাদেশ