নির্যাতিতা নারী তুমি, করছো একাই শোক
আমরা তখন বৈশাখীতে, রাঙাই ডাগর চোখ।।


তোমার দেহ রক্ত মাখা, ছিন্নভিন্ন শাড়ি
ফুলকলিতে রাঙা তখন , সবার উঠুন বাড়ি।।


সবার মনে খুশির আমেজ, উড়ছে বেলুন-পাখা
কষ্টে তোমার হৃদয় ভরা, লজ্জাতে মুখ ঢাকা।।


বৈশাখি ঢোল বাজছে যখন, প্রথম রাঙা ভোরে
তোমার দেহ বইছে পীড়ন, কাঁদছো প্রবল জোরে।।


দানব যদি আসে তেড়ে, না করো হাত জড়ো
প্রাণপনে আজ লড়াই করি, এ হাত দুটি ধরো ।।


যারা তোমার দুঃখ দিলো,  হয় যেনো তার ভালে
ব্যথায়-কাতর, তৃষ্ণাবারি, না পায় মরণ কালে।


জুলুমবাজির খিস্তিমুখে,  ঢালো বিষের ভাড়
বন্ধ করো বৃথাই রোদন, ক্ষিপ্ত হাহাকার।।


নির্যাতিতা বৈশাখী তুমি, কাঁপছ থরথর
ক্ষিপ্র মেঘের তোড়ে উঠুক, বৈশাখী এক ঝড়।


তুমি নারী আমিও নারী, ভিন্ন দেহ মতে
প্রতিরোধের নেশা লাগুক ,
দেহ-আত্মার ক্ষতে ।।


রচনাকা : ১লা বৈশাখ, ১৪২৯