পূর্ণা,
শপথ করছি-
আর একটিও কবিতা লিখবো না
তোর ক্ষত বিক্ষত শরীরের ছিটেফোটা রক্ত
চোখ ভিজিয়ে দিলো আমার ;
খাঁখা করা রৌদ্র মাঠে তখন চলছিল
নরপিশাচের ভোগের উৎসব
বাতাসে ঝড় উঠলো তখন।
গাছের ডালে বসে থাকা পাখিগুলো
তোর চিৎকার শুনে উড়ে পালালো দূরে
যারা পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল ভালো মানুষগুলো
বড্ড তাড়া ছিল তাদের-
সময় হয়নি ফিরে দেখবার
কিভাবে পিশাচেরা তোর তুলতুলে দেহের উপর
লালসার প্রলেপ লাগিয়ে
মাটিতে শুইয়ে দিলো।।


তোর শরীরের কষ্টে মাটিও কেঁদে উঠেছিল
ভূখন্ড লন্ডভন্ড হয়ে গেল
নীরব আর্তনাদে
রক্ত বৃষ্টি ঝরতে লাগলো
গাছের পাতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে...


আমার আর কবিতা আসেনা
সারা গ্রাম শহর জুড়ে তোর আর্তনাদ
আমার শব্দগুলোর ডুবে যায়
তোর চোখের থইথই জলে।।


সকলে কেমন নিশ্চিন্তে ঘুমায়
আমার ঘুমও আসে না
চোখ বন্ধ করলেই দেখি
দেবদূতের মত তুই দাঁড়িয়ে
স্বর্গে নয়, আমারই বিছানার পাশে।।
অথচ দেখ,
আমায় জাগিয়ে রেখে
আমার ঈশ্বর কেমন নিঃশব্দে নিশ্চিন্তে ঘুমায় !!!


৩০ জুলাই, ২০১৮
আর কত পূর্ণা ধর্ষিত হলে,
খুন হলে,
ঈশ্বর জাগবে!!!!!!!