মডার্ন মহালয়া!
_________________________


ভোর পাঁচটার অলস সূর্য তেজে
স্মার্ট ফোনেতে অ্যালার্ম উঠল বেজে-
চোখের কোণে নিদ্রা খানিক বাকি ,
তবে আজ কি কেউ ঘুমিয়ে থাকে নাকি?
দৌড়ে নেমে মুখ-হাত- পা ধুয়ে -
ফোনটায় চোখ,পাপাই সোফায় শুয়ে।
মেসেনজারে মেসেজ লাগামছাড়া,
মহালয়া তাই,মেতেছে মোদের পাড়া।
জিওর কৃপায় আনলিমিটেড কলে ,
পাপাইরা সব দেদার কথা বলে -
শুভেচ্ছাতেই ঘন্টা দুয়েক ফিনিশ,
মহালয়া কি আদেও এমন জিনিস?
সহসাই জুটল এসে বাইক দশটা মতো-
উড়তে গেলো পাপাইরা সব যতো।
বাইক তো নয় যেন উল্কা গায়ে মেখে,
অলস লাগে 'দুরন্ত'-কেও দেখে।
সশব্দে সব দাপিয়ে শহর গোটা---
বুদ্ধি তাদের সত্যি বেজায় মোটা।
দুপুরবেলায় মস্ত বড় রেস্তরাঁতেই থামে,
মদ-মাংস গিলছে দেখ উচ্চতর দামে।
দু মিনিটে হচ্ছে উধাও আস্ত চিকেন রোস্ট-
তুলছে ছবি আড়ম্বরে,ফেসবুকেতে পোস্ট।
বিকেল বেলায় গঙ্গা তীরেই সেরা ,
তাই পাপাইরা সব বেধেছে সেথায় ডেরা।
পূব ঘাটের ঐ শান্ত হাওয়ার ছোঁয়ায় ---
মাতছে সবাই সিগারেটটার ধোঁয়ায়।
সন্ধ্যে নামে, মাতাল পাপাই ফেরে ,
অবাক হয়েই দেখতে থাকি তারে ;
হঠাৎ করে সামনে যেতেই প্রশ্ন করি খাসা-
"এতো রাত্রে ফিরলি যে আজ বাসা?'
অট্টহাসির সুরটি তুলে পাপাই দাদা কয়
"আজ মহালয়া-- বুঝলি সিলি বয়?"
অবাক আমি,পরক্ষণেই প্রশ্নের জাল বুনি-
"কে করেছেন মহালয়া বলত একটু শুনি"
"ওসব জেনে কী হবে রে?মান্ধাতার কথা-
এমনতারা প্রশ্ন করে খাসনা দেখি মাথা।"
"আচ্ছা দাদা মহালয়া শুনলি কখন আজ?"
"ব্যস্ত ছিলাম ভীষণরকম-অনেক ছিল কাজ।"
___________________________
                             
                              -- শুভদীপ চক্রবর্তী