ভাগাড় সমাচার
-----------------------------------------
ঐতিহাসিক যুগের থেকেই,
খাদ্যরসিক মনটা-
আহার-বিহার বেজায় চলে-
বাজলে ছুটির ঘন্টা ।
খাদ্য মোদের হরেক রকম ;
আলুপোস্তের টানে -
বিউলির ডাল, পাঁপড় ভাজা:
গিলতে ভালোই জানে।
যুগের হাওয়ার মতবিরোধে-
মডার্ন জীবন কথা ;
খাদ্যেও তাই ফেরবদলে ,
মাংসাশী রূপকথা ।
বাড়ির খাবার আর রোচেনা-
রেস্তোরাঁতেই মন ;
হালকা আঁচের বিরিয়ানি :
সঙ্গে সুইট কর্ন ।
গোটা মুরগির দারুণ বাজার -
মাটন সবার রাজা ,
নিংড়ে খাব শেষ কামড়েই-
বাসি হোক বা তাজা।
কচি পাঁঠার ব্যাপক ডিমান্ড -
নিত্যদিনেই চাই ;
তেল-ঝালেতে কব্জি মেলে-
আপত্তি তো নাই।
সব বাঙালির হঠাৎ করেই-
অষ্টাগত ঘুম ;
সংবাদ সব নজরকাড়া -
"ন-টার নিউজ রুম।"
কচি পাঁঠার মাংস ভেবে -
গিলছিল যা সবে;
আদতে তা কুকুর দেহ:
সেই মরেছে কবে!
মুরগির ঠ্যাং পোকার বাসা-
দুর্গন্ধের মূল;
ফর্মালিনের ইন্দ্রজালে -
আপ্লুত জীবকুল।
কী খেয়েছে ভাবতে গিয়েই-
অসুস্থতার ঢল :
পঁয়ত্রিশ এর বিরিয়ানি -
"হসপিটালে চল।"
ভাগাড়জাত মাংস এনে -
উদরপূর্তি ছলে ;
"বিষ" সেবনের মহাআয়োজন ,
রমরমিয়ে চলে ।
আর যাইনা রেস্টুরেন্টে-
কী থেকে কী খাব!
হয়তো আহার তুলতে মুখেই-
মানবদেহ পাব!
------------------------------------------
শুভদীপ চক্রবর্তী