একখানা কবিতা পড়ার বাকি আছে?
রেখে দিয়েছি বুক পকেটে!
কোন গভীর রাতে শতকোটি জনতার মাঝে
পড়বো আমি!!!
চারদিক থেকে আওয়াজ আসে,
বলে, কবি শুনাও তোমার কবিতা!
বলো মানবতা কেমন আছে?
জানতে চাই??
আমার হাসিটা এতোই মসৃণ
দূর অব্দি যেতে চায় না!
আমি বুক পকেটে হাতদিয়ে
তাকিয়ে থাকি নিশ্চুপ!!!!
চারদিকটা কোলাহলে ভরে গেছে!
হাহাকার আর যন্ত্রণায়
ভরে গেছে চারদিক!
ওরা কবির কাছে জানতে চায়,
মানবের প্রতি মানবের প্রেম,
শিশুর প্রতি ভালবাসা,
নারীর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা,
প্রেমিকার জন্য ফুল,
লতা-ফুলের জন্য জল,
এখনো আছে কি?
কিংবা কেমন আছে ওরা??
কেউ একজন বলে ওঠলো,
কবিকে বাঁচতে দাও!
সে লিখবে, নিশ্চয় লিখবে,
সে লিখবে যাবতীয় ইতিহাস,
অথবা সভ্যতার নির্মমতা!!
আমি ওঠে দাড়াই,
শোনাতে উদ্যত হই,
না, আবার বুক পকেটে হাত দিই!
আমাকেই বলি,
বুকপকেটেই থাকুক কবিতা!
আমি পড়বো নিশ্চয় পড়বো!
নিশীথ রাতে, হিমেল হাওয়ায়,
আর তোমাদের কর্ণে প্রবেশ করবে,
কবির অমর সত্য বাণী,
তোমরা জানবে, খুব শিঘ্রই জানবে,
এখনো মানবতা আছে,
সভ্যতার মায়ায় উদ্বেলিত হয় প্রাণ,
টিএসসিতে এখনো প্রেমিক আসে,
গোলাপ হাতে......
নারীরা পায় সম্মান,
শিশুরা পায় মমতার হাত,
লতা-ফুল এখনো সৌন্দর্য বিলায়,
অবশেষে আমি চলে আসতে চাইলে,
পথ আগলে ধরে তারা,
বলে, কবি মৃত্যুর কথা তুলবে না?
তোমার কবিতায়,
যেন মৃতরাও ফিরে পায় সম্মান!
আমি আবার উঠে দাড়ালাম
আর মৃদু কণ্ঠে বললাম,
নিশ্চিত করেই বলবো,
তবে আজ বাঁচো!
আগামীর বাঁচাটা আরো সুন্দর হবে!!!!!!!