এই পুরানা মন্দির, এই বট গাছ, কালের সাক্ষী হয়ে নিঃশব্দে দাড়িয়ে আছে  শত বছর ধরে।
ওরা প্রত্যক্ষ করেছে এই জনপদে এক কালের সংখ্যাগুরুদের ক্রমেই সংখ্যালঘু হয়ে যাওয়া।


পুজারী রা একে একে ছেড়েছে স্বদেশ।
তার ক্ষয়িষ্ণু দেহ টা  আজ যত না পায় পুজা, তার চেয়ে বেশী পায় ঘৃণা।


আজ এই গ্রামে, প্রত্যন্ত  পথ ঘাট ঢেকেছে কালো পিচে, দু ধারে  বিজলী বাতি।
মন্দির টি  অবহেলিত বলেই হয় তো  এখনো  মেঠো পথ, সন্ধ্যার আঁধার সেই পথ,মন্দির, বটতলা,দিঘী ছেয়ে ফেলে, সাজায় এক প্রাচীন আবহ।


অন্ধকারময় এই নির্জন পরিবেশ আমাকে যেন নিয়ে এল শত বছর পেছনে,সনাতন কোন গাঁয়ে।
শরৎ কাহীনি যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে, একে একে সামনে এসে দাঁড়াবে ন্যাড়া, ইন্দ্র, মৃত্যুঞ্জয়, বিলাসী,  শ্রীকান্ত রা।


এক ঘোরে দাঁড়িয়ে ছিলাম বট গাছ টির তলায়। সময় যেন হয়ে ছিল স্থির।
অবশেষে ঘরে ফিরে এলাম আমি কাল-ভ্রমণের অনুভুতি নিয়ে।


স্থানঃ জগন্নাথদেব এর মন্দির, জগন্নাথপুর, কুমিল্লা সদর দক্ষিন।
তারিখঃ ২রা মে ২০১৮ ইং