বলেছিলে আমার সবটুকু গ্রহণ করে
ভালবাসবে আমায়.
হেসেছিলাম আমি,
মোনালিসার মতো পেরেছিলাম
কিনা
জানিনা,
তবে রহস্য ছিলো প্রচুর.
গনিতের ভাষার মতো ধরে নাও,
আজ আমি আর নেই,
আর ফিরবোনা নিউ টাউনে
আমার ভার্সিটির ক্যাম্পাসে.
কিংবা শিয়ালদা স্টেশনে
ভিড়ে ঠাসা ইছামতীতে.
ধরে নাও,
আমার প্রাণহীন দেহ পড়ে আছে অচেনা
কোনো জঙ্গলে, কিংবা নদীর ধারে.
কিছু মানুষ নিয়ে গেল
দেহে আটকে থাকা সোনার গয়না.
কিছু মানুষ তাকিয়ে সরিয়েনিল চোখ.
কাক, চিল,শকুনে খেল
আমার পচন ধরা দেহ.
বাকিটা মিশিয়ে নিল মাটি নিজের
সাথে.
বলোতো আমার কতটুকু গ্রহণ করতে
পারলে তুমি?
কাক, চিল, মাটি, সওদাগর
কিছুতো পেল আমার.
কিন্তু তুমি?
জানি আমি কি পেলে তুমি ....
আরসালানে মুখমুখি বসে
হাতেহাত নয়, শুধু চোখেচোখ রেখে
অতল সাগরে ঝাঁপ দেওয়ার
সেই রোমাঞ্চটা.
শীতের বইমেলায় দশহাত দূরে থেকেও
আমার প্রাণের খুব কাছে থাকার
অনুভূতিটা.
কিংবা রাতের গভীরতা ভেদকরা
আমার আগে অঙ্ককষার
তোমার প্রবল তারণাটা.
আমার এসবই রয়ে গেল
তোমার কাছে.
জানি আমি কান্নার আবরণে
খুব যত্নে মুড়িয়ে রেখেছো তুমি,
কোনো আঁচ লাগতে দেবেনা.
সওদাগরের হাতের গয়না
টাকা হয়ে গেছে.
কাকের চোখ
অন্য শবের দিকে.
মটির এখন আর
খিদে নেই.
কিন্তু আমি এখনো ছুটে বেড়াচ্ছি
তোমার ধমনি -শিরায়
মজ্জায় মজ্জায়.
বহুবার জানতে চেয়েছ
কেন ভালবাসি?
আজ উত্তর পেলে....
তোমার মনে অমরত্বের লোভে.