ক্ষুধার পেটে অন্ন
কবি কনক প্রভা বকসী


অসহায় ব্যক্তিটির পেটে কোন খাদ্য নাই
তিনদিন ধরে ক্ষুধাই ছটফট করছে
বাসস্থান তার রাস্তার ধারে বৃক্ষের তলায়
বয়সে নুজ সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।


গায়ের শক্তি নাই তাই দু-পায়ে শক্তি পারছেনা
দাঁড়াবে কি করে...?
এদিক ওদিক থেকে চেয়ে আনবে কি করে?
একটু হাঁটতে পারলে সামনের খাবারের
দোকানের উচ্ছিষ্ট কিছু খাবার জুটত।


জোরে কিছু বলতেও পারছেনা
পিপাসায় বুক শুকিয়ে গেছে
কথা যেন তার মুখ থেকে বাহির হয় না
কি তার ভাগ্যে আছে...?
আজো তার পেটে খাবার জোটে কিনা।।


কোন উপায়ে জুটতেও পারে
কিভাবে তার ভাগ্যে জুটবে নিজেও জানেনা..?
গাছের ডালে পাখির বাসা,
ঝাঁকে ঝাঁকে গাছের ডালে আসে।


আবার উড়ে আবার আসে এই তাদের কাজ
পাখিরা কোথা থেকে কুড়িয়ে খাদ্য যোগাড় করে
মুখে করে আনে রুটি পরোটা পাউরুটি
মাছ মাংসের টুকরা মজা করে ডালে বসে খাচ্ছে।


আবার মাটিতে পড়ে যাচ্ছে
সেগুলি অনাহারী ব্যক্তি খায় আর
তার পেটের ক্ষুধা নিবারণ হচ্ছে
খেয়ে পেট ভরে গেলো ভাবলো আর
আমার খাবারের অভাব হবে না।


যদি পাখিগুলি এই গাছের ডালে বসে
তারাই আমার পেটের ক্ষুধার সামগ্রী যোগাবে
এই পাখিগুলোর জন্য আমার চরম আশীর্বাদ
কেহ কারো খোঁজ রাখেনা।


এই বৃক্ষের তলায় কে আসবে?
এক অচল ব্যক্তি মুখ থুবড়ে পড়ে আছে
তার কে খোঁজ করে..?
সবাই ভালো থাক।


আমার জীবনটা যেন পাখির
খাদ্য আহরণে যেন চলে
এবার মরিলে আবার আসবো‌ ধন সম্পদ নিয়ে
দারিদ্রতা কি জিনিস..?
আমি হাড়েহাড়ে অনুভব করছি।


গরীব হয়ে নিঃস্ব হয়ে
পৃথিবীতে যেন না আসে
যদি ঘরে ক্ষুধার অন্ন না থাকে
এসে কোন লাভ হয় না।


এবারের জনমে পাখিরা দিয়েছে
আমাকে ক্ষুধার আহার
তাই আমি চির কৃতজ্ঞ
এই পাখিগুলোর কাছে।


রচনা কাল: ১১-০৯-২০২০
সময়: বিকেল ৫:০০
দিনাজপুর ‌।