নিভে যাওয়া দীপ্ত ইতিহাসে, জ্বললো এক দীপ্ত তারা,
বাল্যকালেই হৃদয় ভরে, নিয়েছিল যে কুরআনের ধারা।
মেহমেদ, এক নাম নয় শুধু, এক অঙ্গীকারের গল্প,
বিশ্ব জয়ের বাসনা নিয়ে গড়ল সে চিরন্তন ছল।

আখ শামসুদ্দিনের হাত ধরে, জ্ঞানের আলো পেল,
আরবি, ফার্সি, গ্রীক-লাতিন, বুকে সাহস জ্বলজ্বল।
কেবল তরবারি নয়, ছিল কলমের সাথেও প্রেম,
তাই তো সাম্রাজ্য গড়ল জ্ঞান আর ইমানের টেম।

একুশে পা, বুক ভরা স্বপ্ন, চোখে নবীর কথা,
“বিজয় করবে এক সেনাপতি” — ছিল যেন তাহারই রেখা।
কনস্টান্টিনোপল, দূর্গম প্রাচীর, যুগে যুগে যারা ব্যর্থ,
মেহমেদ বলল — "আল্লাহর নামে, এবার চলি রণভূমি পথে।"

ধ্বংস নয়, নির্মাণ ছিল, তার বিজয়ের মূল কথা,
গির্জা নয়, হৃদয়ে স্থান — তাই হায়া সোফিয়ায় হয় আজান ধ্বনিতা।
খ্রিস্টান, ইহুদি, মুসলমান — সবাই পেলো স্থান,
ইসলামের সুশাসনে গড়া, এক মানবিক জ্ঞানভিত্তিক তাম্রপত্র দান।

মেহমেদ কেবল এক রাজা নয়, এক দর্শন, এক বিপ্লব,
বিজয়ের পরেও ছিলেন তিনি প্রজার সেবায় অদ্বিতীয় সব।
গড়লেন নগর, প্রতিষ্ঠা করলেন আদালত,
শাসনে মিলল করুণা, তীক্ষ্ণতা, আর আল্লাহর হুকুমাত।

তবু প্রশ্ন উঠে আজ — মেহমেদ পরে কই গেল?
তার আদর্শ কেন আজ আমাদের জীবন থেকে হারাল?
মুসলিম আজ বিভক্ত শতধা, হারিয়েছে সে ঐক্য,
অবহেলায় পড়ে আছে তার গড়া সভ্যতার বৈভব ঐতিহাসিক ধৈর্য।

আজ আমাদের করণীয় কী? — উত্তর সুলতানই দেয়:
"শেখো, চিন্তা করো, ঐক্য গড়ো—জ্ঞান-সাহসে হৃদয় বয়ে।
দ্বীনকে রেখো আগে, দুনিয়া আসবে পিছে,
বিজয় নয় কেবল, গড়ো আদর্শ, এই হোক আজকের রীতি।"